ঐক্য.কম.বিডি-ইমকাবিডি মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হলেন তিন সাংবাদিক। শনিবার ঢাকা ক্লাবের স্যামসন এইচ চৌধুরী সেন্টারে ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ মাস কমিউনিকেশন (আইআইএমসি) এলামনাই এসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ইমকাবিডি)-এর ‘কানেকশন্স’ অনুষ্ঠানে তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বিষয়ক প্রতিবেদন আহ্বান করার পর যে শতাধিক প্রতিবেদন জমা পড়ে সেখান থেকে জুরি বোর্ডের মূল্যায়নের ভিত্তিতে তিন বছরের জন্য দেওয়া হয় ঐক্য.কম.বিডি-ইমকাবিডি মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড। ২০২১ সালের জন্য পুরস্কার পেয়েছেন নিউজনাওবাংলা.কম সম্পাদক শামীমা দৌলা। প্রথম আলোর বিশেষ প্রতিনিধি রাহীদ ইজাজ পুরস্কার পেয়েছেন ২০২০ সালের জন্য। আর ২০১৯ সালের জন্য পুরস্কার পেয়েছে নিউজ টুয়েন্টি ফোর চ্যানেলের অনুসন্ধানী অনুষ্ঠান ‘টিম আন্ডারকভার’।
ইমকাবিডি’র সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিমের সভাপতিতেত্ব পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী। সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন কেন্দ্রীয় ইমকা’র সাবেক সভাপতি প্রসাদ স্যান্যাল, ঐক্য ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও ঐক্য.কম.বিডি’র সিইও অপু মাহফুজ। বক্তৃতা করেন ইমকাবিডি’র সিনিয়র সহসভাপতি আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক জাহিদ নেওয়াজ খান এবং ঐক্য.কম.বিডি-ইমকাবিডি মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড জুরি বোর্ডের প্রধান ফরিদ হোসেন।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, যে ভারত রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় অসামান্য অবদান রেখেছে, তাদের সাথে আমাদের অত্যন্ত চমৎকার সম্পর্ক থাকাই স্বাভাবিক এবং তাই আছে, মতদ্বৈততার মুখ্য কোনো বিষয় নেই, সম্পর্ক আরো এগিয়ে নিতে প্রয়োজন একসাথে কাজ করা।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে দু’দেশের সম্পর্ক আজ নতুন উচ্চতায় বর্ণনা করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ভারত মুক্তিযুদ্ধের সময় এ দেশের এক কোটি মানুষকে আপন করে আশ্রয় দিয়েছে, তখনকার ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী পাকিস্তানের কারাগারে ফাঁসির মুখে থাকা বঙ্গবন্ধুকে মুক্ত করতে বহু দেশ ভ্রমণ করেছেন, পাকিস্তানিরা যে গণহত্যা করেছে, সে চিত্র বিশ্বে তুলে ধরেছেন। সেইসব কারণে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসে ভারতের নাম চিরদিন স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
মন্ত্রী ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্কভিত্তিক রিপোর্টিং পুরস্কার বিজয়ীদের অভিনন্দন জানান এবং আশা প্রকাশ করেন, আইআইএমসি গ্র্যাজুয়েটসহ সকল গণমাধ্যম দু’দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদারে গঠনমূলক ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।
ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলেন, ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে শিক্ষা ও জনগণের উন্নতি সাধনে ভারত বাংলাদেশকে সাধ্যমতো সহায়তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ঐক্য ফাউন্ডেশনের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম এবং শাহিন আখতার রেনির পক্ষে বক্তব্যে ঐক্য.কম.বিডির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অপু মাহফুজ বলেন: এখানে কথা বলতে এসে শুরুতেই মনে পড়ছে, কয়েকমাস আগে আমরা রাজশাহীতে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী উৎসব আয়োজন করেছিলাম। আজকের এ অনুষ্ঠানটি যেনো সেই উৎসবেরই আরেকটি দিক।
তিনি বলেন, ‘‘দুই নিকট প্রতিবেশী রাষ্ট্র ও সরকারের বন্ধুত্ব ও ভ্রাতৃত্বমূলক সম্পর্কের পাশাপাশি মানুষে মানুষে যোগাযোগ খুব গুরুত্বপূর্ণ। দু’দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব যতো দৃঢ় হবে, ততোই মানুষে মানুষে যোগাযোগ বাড়বে এবং সেই যোগাযোগে আবার দু’দেশের সম্পর্ক দৃঢ়তর হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর যোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে বন্ধুত্বের যে নবদিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে, যা প্রতিদিনই আগের দিনের চেয়ে আরও বেশি শক্তিশালী হচ্ছে; তা সাংস্কৃতিক বিনিময় এবং মানুষে মানুষে যোগাযোগে আরও নতুন মাত্রা পাবে বলে আমি এবং আমরা আশা করি।”
অপু মাহফুজ বলেন: ‘‘আমরা ঐক্য ফাউন্ডেশন থেকে দেশের ১ কোটি ২০ লাখ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তার পক্ষ হয়ে কাজ করছি। তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ বাজারজাতকরণে সেতৃ হয়ে কাজ করছি আমরা। আমাদের এ উদ্যোগের মূল লক্ষ্য অর্থনৈতিক উন্নয়ন। বাংলাদেশে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সেই উন্নয়নে নিজ নিজ দেশে এবং আঞ্চলিক ফোরামগুলোতে কাজ করছেন। তার একটি খুবই ছোট অংশ হয়ে আজকের এ আয়োজনে অংশীদার হতে পেরে আমরা নিজেদের গর্বিত মনে করছি।”
ডেস্ক রিপোর্ট,
উদ্যোক্তা বার্তা