এসএমই ফাউন্ডেশনের কর্মসূচি বাস্তবায়নে সহায়তা করবে আইটিসি

0

বাংলাদেশের নারী-উদ্যোক্তাদের দক্ষতা উন্নয়ন এবং নারী-উদ্যোক্তা সংগঠনকে শক্তিশালী করতে এসএমই ফাউন্ডেশনের কর্মসূচি বাস্তবায়নে সহায়তা করবে ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড সেন্টার (আইটিসি)। বুধবার (১৫ মার্চ) এক অনুষ্ঠানে সংগঠনটি বাংলাদেশকে ‘হাব’ হিসেবে ঘোষণা করে এসএমই ফাউন্ডেশনের সহায়তায় নারী-উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে বিশেষ কর্মসূচি বাস্তবায়নের ঘোষণা দিয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এমপি।

বিশেষ অতিথি ছিলেন এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. মো. মাসুদুর রহমান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. মফিজুর রহমান, যুক্তরাজ্যের ফরেন, কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিসের উপ-উন্নয়ন পরিচালক ডানকান ওভারফিল্ড, বং চট্টগ্রাম উইমেন চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি ও এসএমই ফাউন্ডেশনের পরিচালক মনোয়ারা হাকিম আলী। এসএমই ফাউন্ডেশনের পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. মফিজুর রহমান এবং আইটিসি’র পক্ষে ডিভিশন অফ সাসটেইনেবল অ্যান্ড ইনক্লুসিভ ট্রেড পরিচালক ফিওনা শেরা সমঝোতা স্মারকে সই করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন বলেন, বাজার সংযোগ, আইসিটি ব্যবহার, অর্থায়ন, দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ, অ্যাডভাইজরি সার্ভিসের মাধ্যমে নারী-উদ্যোক্তা উন্নয়নে এসএমই ফাউন্ডেশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

মন্ত্রী বলেন, ২০২৬ সালের পর স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাণিজ্যনির্ভর উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন বাংলাদেশের নারী-উদ্যোক্তারা। তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে এসএমই ফাউন্ডেশন ও আইটিসির আজকের উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করি।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, আইটিসি বর্তমানে এশিয়া, আফ্রিকা, ক্যারিবিয়ান ও ল্যাটিন আমেরিকার নারীদের উন্নয়নে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বাংলাদেশকে এই কার্যক্রমের ‘হাব’ হিসেবে যুক্ত করার অংশ হিসেবে সম্প্রতি মরিশাসে ক্রিয়েটিং ডিজিটাল অ্যাসেটস ফর ইওর বিজনেস কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছে বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধিদল। বাংলাদেশ, ঘানা, কেনিয়া, নাইজেরিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও মরিশাসে পরিচালিত এই কর্মসূচির মাধ্যমে ১২শ’ নারী-উদ্যোক্তা পরিচালিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ৮৪টি সরাসরি ও ভার্চুয়াল মেলায় অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেয়া হবে। ৪৬শ’ নারী-উদ্যোক্তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ৬,৬৪৯ জন নতুন কর্মীর কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেয়া হবে, যাদের ৭৩ শতাংশ নারী এবং ৯১টি নারী-উদ্যোক্তা সংগঠনের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করা হবে। এছাড়া জাতীয় পর্যায়ে নারীবান্ধব ব্যবসায়িক নীতি প্রণয়ন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ক্রেতা ও বিনিয়োগকারীদের সাথে নারী-উদ্যোক্তাদের যোগাযোগ বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে এসএমই ফাউন্ডেশন ও আইটিসি।

আইটিসি মনে করে, ২০২৬ সালের পর স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাণিজ্যনির্ভর উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন বাংলাদেশের নারী-উদ্যোক্তারা।

ডেস্ক রিপোর্ট
উদ্যোক্তা বার্তা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here