অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় একাদশ জাতীয় সংসদের তৃতীয় অধিবেশনে বাজেট পেশ করেন। এটি দেশের ৪৮তম, আওয়ামী লীগ সরকারের ২০তম এবং অর্থমন্ত্রী হিসেবে মুস্তফা কামালের প্রথম বাজেট।
২০১৯ এর বাজেট যেভাবে উদ্যোক্তা, উদ্যোক্তার কর্মভুবন ও ব্যবসাকে ত্বরান্বিত করবে এবং আনবে উদ্যোগে গতিশীলতা। বিষয়গুলো জেনে নিন বুলেট পয়েন্টে।
১. তারুণ্যের শক্তি- বাংলাদেশের সমৃদ্ধি এ স্লোগানকে সামনে রেখে ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে যুবকদের মধ্যে ‘ব্যবসা উদ্যোগ’ সৃষ্টির জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
২. নারী উদ্যোক্তা কর্তৃক পরিচালিত ব্যবসায় শোরুমের ওপর মূসক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
৩.নারী উদ্যোক্তাদের পণ্য ভ্যাটমুক্ত রাখা।
৪.নারীদের অগ্রগতির উদ্দেশ্যে ‘নারী উদ্যোক্তা তহবিলে’ ১০০ কোটি টাকা এবং ‘নারী উন্নয়ন বিশেষ তহবিলে’ ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হচ্ছে। এছাড়া ‘স্কিল ডেভেলপমেন্ট ফান্ডে’ গত দুই বছরের মতো এবার ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
৫. দেশে জুতা, স্যান্ডেল তৈরিতে ব্যবহৃত পাঁচটি উপকরণে নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ও সম্পূরক শুল্ক মওকুফ করা হয়েছে। ফলে দেশীয় পাদুকাশিল্পের উৎপাদন ব্যয় কমতে পারে।
৬. বেকারত্বের অবসান ঘটাতে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে৷
৭. যেসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বছরে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত লেনদেন করবে সেগুলো ভ্যাট আইনের আওতার বাইরে থাকবে। যেসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক লেনদেন ৫০ লাখ থেকে তিন কোটি টাকা পর্যন্ত তারা ৪% হারে টার্নওভার কর দেবে।
৮. জীবনধারণের জন্য যেকোনো মৌলিক খাদ্য উৎপাদন ও আমদানি পর্যায়ে ভ্যাট নেই। পণ্যের মধ্যে আছে চাল, আটা, ময়দা, মাছ-মাংস, শাকসবজিসহ কৃষিজাত মৌলিক খাদ্য।
৯. বিশেষ জনগোষ্ঠীর প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব।
১০. কারখানার শ্রমিকদের জন্য এসেছে দুর্ঘটনা ভাতা দেয়ার প্রস্তাব।
ডেস্ক রিপোর্ট, উদ্যোক্তা বার্তা