সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কল্যাণে তথা সমাজের নানাবিধ সমস্যা দূর করতে, তৃণমূল পর্যায়ে মানুষের স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করতে এবং দরিদ্র নারীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে কঠোর পরিশ্রম করে গেছেন সাহসী নারী উদ্যোক্তা তানিয়া আজাদ।
অষ্টম শ্রেণীতে পড়াকালীন সময় বিয়ের পিঁড়িতে বসলেও পরিবারের সহায়তায় পড়ালেখা অব্যাহত রাখেন তিনি। পড়ালেখার পাঠ চুকিয়ে গাইবান্ধায় এসকেএস ফাউন্ডেশনে চাকরি শুরু করেন। চাকরিতে প্রায় দেড় বছর অতিবাহিত হবার পর চাকরি ছেড়ে তিনি তার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে চাইলেন।
২০০৮ সালে আরো কয়েকজনকে সাথে নিয়ে তিনি বরেন্দ্র উন্নয়ন সংস্থার যাত্রা শুরু করেন। ২০১০ সালে তিনি প্রতিবন্ধী উন্নয়ন, ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের মতো আরো কিছু প্রকল্প পেয়ে সফলভাবে প্রকল্পগুলো সম্পন্ন করেন। পাশাপাশি প্রায় ১৫০ জন নারীদের তাঁত ও বুটিক শিল্পে প্রশিক্ষণ দেন।
২০১১ সালে সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের নিরাপদ স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতের লক্ষ্যে স্বল্প খরচে অভিজ্ঞ ডাক্তার নিয়ে ‘বরেন্দ্র হেলথ কেয়ার এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টার’ নামে একটি হেলথ কেয়ার প্রতিষ্ঠা করেন।
উদ্যোক্তা বার্তাকে তানিয়া আজাদ জানান, “সেবার মান বাড়াতে আরো অভিজ্ঞ ডাক্তার নিয়ে হেলথ কেয়ারটিকে ২০১৯ সালে বরেন্দ্র হাসপাতালে রুপান্তরিত করতে যাচ্ছি আমরা। ইতিমধ্যে যার কার্যক্রম শুরু হয়ে গেছে।
২০১৫ সালে তিনি যেসকল নারীদের তাঁত ও বুটিকসহ নানান বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন তাদের সাথে নিয়ে টি. এ. এন্টারপ্রাইজ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু করেন উদ্যোক্তা। এছাড়াও বিভিন্ন গ্রামে লিডার তৈরী করে অন্যান্য কর্মীদের কাছ থেকে কাজ উঠিয়ে নেন উদ্যোক্তা।
উদ্যোক্তা তার প্রতিষ্ঠানে তৈরী পণ্যগুলো এসএমই মেলাসহ দেশব্যাপী বিভিন্ন মেলায় প্রদর্শণ করতে থাকেন।পরিচিতি বাড়ার পাশাপাশি বাড়তে থাকে কাজের পরিধি। বর্তমানে প্রায় ১০০০’র বেশি নারী কাজ করছেন উদ্যোক্তার অধীনে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে উদ্যোক্তা জানান, “আরো কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে চাই, যাতে নারীরা স্বাবলম্বী হয়ে পরিবার, সমাজ এবং সর্বোপরি দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারে।”
রাজশাহী থেকে রাইদুল ইসলাম শুভ
এসএমই করেস্পন্ডেন্ট ,উদ্যোক্তা বার্তা