বাংলাদেশের সিএমএসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য মাস্টারকার্ড সুখবর দিয়েছে। মাস্টারকার্ড বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল জানিয়েছেন, সামনে তারা এ খাতে আরও নতুন প্রোডাক্ট নিয়ে আসবেন। কার্ড ত্বরান্বিত করার পাশাপাশি নতুন টেকনোলজি নিয়ে কাজ চলছে।
চলতি বছরের জুন মাসে বাংলাদেশে প্রথম সোশ্যাল মিডিয়া কার্ড চালু করেছে মাস্টারকার্ড। এটা মূলত নারীদের কথা চিন্তা করেই করা হয়েছে। এর আগে নারীদের জন্য তাদের অন্য প্রোডাক্ট ছিল। কিন্তু, এখন সোশ্যাল মিডিয়া কার্ডকে গুরুত্ব দিচ্ছে মাস্টারকার্ড।
এর কারণ ব্যাখ্যা করে সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল বলেন: বাংলাদেশের যারা ফেসবুক কমার্স ব্যবসা করেন, তাদের প্রায় ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশই নারী। তাদের কাছে কোন ফরমাল ট্রানজেকশন টুল ছিল না। তাদের ক্যাশ অন ডেলিভারি হতো, কুরিয়ার সার্ভিস তাদের তিনদিন পর নগদ টাকাটা বুঝিয়ে দিতো। এখানে সময়টা দীর্ঘ ছিল। এই কার্ডটির মাধ্যমে এমন ব্যবস্থা হয়েছে যে, এখন দিনশেষে কুরিয়ার সার্ভিস সেই নারী উদ্যোক্তার কার্ডে টাকা লোড করে দিতে পারছে।
সোশ্যাল মিডিয়া কার্ডে আরও সুবিধা আছে: ১. ফেসবুক কমার্স করতে গিয়ে ফেসবুক অথবা গুগলে বিজ্ঞাপন দিতে হয়। এটা ডুয়েল কারেন্সি কার্ড, সুতরাং এখান থেকে সরাসরি বিজ্ঞাপন দেওয়া সম্ভব। ২. পণ্য বিক্রির টাকাটা যেহেতু কার্ডে চলে আসে, সুতরাং উদ্যোক্তা এটিএম মেশিনে গিয়ে টাকা তুলতে পারেন। প্রত্যন্ত এলাকায় না থাকলেও জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে এটিএম আছে।
‘ওই নারী উদ্যোক্তা যদি গ্রাম পর্যায়েও থাকেন, সপ্তাহে এক বা দু’বার অবশ্যই উপজেলা লেভেলে যান। চাইলে একই ব্যাংকের মেশিনে কোন খরচ ছাড়া টাকা উঠাতে পারবেন, আর অন্য ব্যাংকে হলে মাত্র ১৫ টাকা খরচ হবে। বেশ কয়েকশ নারী উদ্যোক্তা এরইমধ্যে এই কার্ডটি নিয়েছেন। এ ধরনের উদ্যোগ আমরা ভবিষ্যতেও নেবো,’ বলে জানান মাস্টারকার্ড বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার।
তিনি জানান, ছোট ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের জন্য ভবিষ্যতে আরও কিছু প্রোডাক্ট আনবে মাস্টারকার্ড যা বিশেষ করে নতুন উদ্যোক্তাদের সহায়তা করবে। এমএসএমইর বিষয়টিতে চলতি বছর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে, আগামী বছরও ফোকাস করা হবে।
ঢাকা উত্তরের স্মার্ট হার্ট, স্মার্ট বাংলাদেশ গত কেরবানির ঈদে ‘স্মার্ট হাট, স্মার্ট বাংলাদেশ’-এর উদ্যোগ নিয়েছিল ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এবং বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে সহযোগিতা করেছিল মাস্টারকার্ড।
এ বিষয়ে মাস্টারকার্ড বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল বলেন: ভালো দিকটা হলো এই ‘স্মার্ট হাট, স্মার্ট বাংলাদেশ’ পরীক্ষামূলকভাবে আমরা ডিএনসিসির ছয়টি হাট নিয়ে করেছি। আমরা দেখেছি তিনদিনের গরুর হাটে মাস্টারকার্ডের মাধ্যমে প্রায় ৩৪ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যেটা আসলেই অনুপ্রেরণামূলক। এবারের সফলতায় আমরা আগামী বছর অন্যান্য সিটি করপোরেশন বা পৌরসভা লেভেলে নিয়ে যেতে পারবো।
‘আমি সারাজীবন নগদ টাকা দিয়ে কিনতাম, এখন কোন না কোনো ডিজিটাল মাধ্যমে কিনেছি। সেটা হতে পারে কার্ড কিংবা এমএফএস। এতেই প্রমাণ করে আমরা নতুন জিনিসকে পছন্দ করি। ভবিষ্যতে অবশ্যই এটি অন্যান্য সিটি করপোরেশনে চলে যাবে,’ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ডেস্ক রিপোর্ট
উদ্যোক্তা বার্তা