কর্পোরেট চাকরির মোহে যখন ছুটে চলছে লাখো তরুণ, তখনও কিছু স্বপ্নবাজ তরুণ-তরুণী নিজেরাই উদ্যোগ গ্রহণ করছে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর। একদিকে পড়ালেখা অন্যদিকে ক্ষুদ্র ব্যবসা, দুটোই সমানতালে চালিয়ে নিচ্ছেন এবং টিকে থাকার লড়াইয়ে সামিল হচ্ছেন তারা। বাংলাদেশের অসংখ্য তরুণ উদ্যোক্তাদের মধ্যে রয়েছেন অন্যতম আব্দুল আজিজ । এই স্বপ্নবাজ তরুণ উদ্যোক্তার ইন্ডিক্যাফে এখন চা-কফির জগতে সুপরিচিত ব্র্যান্ড।
তরুণ উদ্যোক্তা আব্দুল আজিজ জানান, স্বপ্নটা ছিলোনা না আকাশ ছোঁয়ার, তাই বলে গৎবাঁধা জীবনও পছন্দ নয়। কর্পোরেটের চাকুরি ছাড়ার মত সৎ সাহসও ছিল। শুরুটা খুবই ছোট্ট পরিসরে হলেও নিজ মেধা, শ্রম আর ধৈর্য্য দিয়ে তিনি অল্প সময়েই জয় করে নিয়েছেন লাখো চা পিপাসুর মন। পড়াশুনার পাঠ চুকিয়ে লোভনীয় ব্যাংকের চাকুরি ছেড়ে গড়ে তুলেন নিজ প্রতিষ্ঠান ইন্ডিক্যাফে ফুড এন্ড বেভারেজ লিমিটেড।
প্রথমবারের মত রেডি টি বাজারজাত করে তাক লাগিয়ে দেন আব্দুল আজিজ। সেই থেকে পথচলা। পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি। যদিও বাধা ছিল পদে পদে। সফলতার মূল চাবি-কাঠি কি ছিল? জানতে চাওয়া হলে আব্দুল আজিজ বলেন, লক্ষ্য, সততা আর কোয়ালিটি-এই তিনটির সমন্বয়। আমি মনে করি মানুষ কতটা শক্তিশালী ও ক্ষমতাধর হতে পারে তা কেউই বুঝতে পারিনা। মানুষ চাইলে পারে না এমন কিছু আছে বলে আমি বিশ্বাসও করি না। তবে প্রকৃত উদ্যোক্তা হতে হলে অবশ্যই আত্মপ্রত্যয়ী হওয়াটা জরুরি বলে আমি মনে করি।
আব্দুল আজিজ স্বপ্ন দেখেন তাঁর ইন্ডিক্যাফে ছড়িয়ে যাবে ৬৮ হাজার গ্রামে, সেই সাথে কর্মসংস্থান হবে লাখো মানুষের।
মাসুমা শারমিন সুমি
উদ্যোক্তা বার্তা
আমার নাজেম উদ্দিন, আমি ইসলামি ব্যাংকে কর্মরত আছি। আসলে আব্দুল আজিজ ভাইয়ের এই উদ্যোগটা আমার দারুণ লেগেছে। ওনার ঠিকানা টা যদি জানানো যেতো আমরা দুইজন বন্ধু ওনার সাথে দেখা করতাম। বলার আমার অপর বন্ধুটি ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামি ব্যাংকের হেড অফিসে কর্মরত।