পর্ব-১
আমি রেজবিন হাফিজ, আমি একজন নারী উদ্যোক্তা। শিক্ষিকা ছিলাম আমি। দীর্ঘ ১০ বছর মাইলস্টোন কলেজে শিক্ষকতা করেছি।
আমার স্বামী জনাব হাফিজুর রহমান একজন লেদার ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার সুবাদে আমার বিভিন্ন সু ও লেদার গুডস ফ্যাক্টরিতে যাবার সুযোগ ঘটে। মূলত সেখান থেকেই ব্যবসায় আসার প্রতি আগ্রহ জন্মায় আমার।
২০১৪ সালে একটি সুইং মেশিন, দুইজন কারিগর ও তিন লক্ষ টাকা পুঁজি নিয়ে ছোট পরিসরে ব্যবসা শুরু করি। চামড়ার তৈরী নানান পণ্য প্রস্তুত হতে থাকে আমার ফ্যাক্টরীতে।
বর্তমানে যে পণ্যগুলো আমি তৈরি করছি তার মধ্যে রয়েছে হ্যান্ড মেড স্যান্ডেল, বিভিন্ন ধরনের জুতা, চামড়ার বেল্ট, মানিব্যাগ, লেডিস সু ও স্যান্ডেল, লেডিস পার্স ও হ্যান্ড ব্যাগ, অফিস ব্যাগ, লেদার জ্যাকেট, চাবির রিং, জুয়েলারি এমনকি গৃহসজ্জার বিভিন্ন উপকরণ সমূহ।
এছাড়াও আমরা চামড়া কাটার জন্য একটি বিশেষ ছুরি বা কাটিং নাইফ তৈরি করে থাকি যা দ্বারা যেকোনো পণ্যের কাটিং করা হয়। আমাদের উদ্ভাবিত লেদার কাটিং নাইফ বিভিন্ন সু এবং লেদার গুডস ফ্যাক্টরিতে কাটিং নাইফের চাহিদা পূরণ করছে।
আমার সুদূরপ্রসারী উদ্দেশ্য হচ্ছে আমার ছোট্ট প্রতিষ্ঠান পিপলস ব্র্যান্ডের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মানের ডিজাইন ও বিশ্বমানের পণ্য দেশীয় বাজারে ভোক্তাদের নিকট পৌঁছে দেয়া এবং দেশে উৎপাদিত পণ্য ব্যবহারের প্রতি ভোক্তাদের আগ্রহী করে তোলা।
আমাদের রয়েছে নিজস্ব শোরুম, অনলাইন পেইজ, এছাড়াও অর্ডারের মাধ্যমে ছোট বড় প্রায় ২৫ টি শোরুমের কাজ করে থাকি আমরা। এছাড়াও বিভিন্ন কর্পোরেট গিফট আইটেমের পাশাপাশি দেশীয় ব্র্যান্ড তথা বাংলাদেশের যে সকল প্রতিষ্ঠান দেশের বাইরের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের কাজ করে থাকেন তাদের কাছ থেকে সাব কন্ট্রাক্ট এর কাজও আমরা করে থাকি।
বর্তমানে আমরা মালয়েশিয়া এবং জাপানে জুতা ও বেল্ট রপ্তানি করছি। আমাদের প্রধান প্রতিশ্রুতি হচ্ছে, গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী বিশ্বমানের ডিজাইন ও মান বজায় রেখে ভোক্তার আস্থা ও সন্তুষ্টি অর্জন করে পিপলস ব্র্যান্ডকে দেশীয় বাজারে প্রতিষ্ঠা করা। সেজন্য আমাদের পণ্যের মানের ব্যাপারে আমরা কোনপ্রকার কম্প্রোমাইজ করিনা।
চলবে…
রেজবিন হাফিজ
সফল নারী উদ্যোক্তা