আন্তর্জাতিক এমএসএমই দিবস উপলক্ষে এসএমই ফাউন্ডেশন এবং UNIDO’র যৌথ উদ্যোগে ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত

0

আন্তর্জাতিক এমএসএমই দিবস ২০২১ উদযাপন উপলক্ষে প্রথমবারের মতো এসএমই ফাউন্ডেশন এবং UNIDO’র যৌথ উদ্যোগে ওয়েবিনারের আয়োজন করা হয়।
এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোঃ মাসুদুর রহমান-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় শিল্পমন্ত্রী জনাব নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, এমপি।

বিশেষ অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন মাননীয় শিল্প প্রতিমন্ত্রী জনাব কামাল আহমেদ মজুমদার এমপি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জনাব জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জনাব মোঃ আখতার হোসেন, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব জাকিয়া সুলতানা এবং এফবিসিসিআই-এর সভাপতি জনাব মোঃ জসিম উদ্দিন। অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে অংশগ্রহণ করেন Mr. Van Berkel Rene UNIDO Regional Representative for South Asia।
উল্লেখ্য এ-বছর এই দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘কি টু অ্যান ইনক্লুসিভ এন্ড সাসটেইনেবল রিকভারি’।
স্বাগত বক্তৃতায় এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মোঃ মফিজুর রহমান বলেন, “কোভিড-১৯ প্রেক্ষাপটে এসএমই উদ্যোক্তাদের ক্ষতি কাটিয়ে সরকারের প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় ৩০০ কোটি টাকার মধ্যে ইতোমধ্যে এ-অর্থবছরে বরাদ্দকৃত ১০০ কোটি টাকা বিতরণ করতে সক্ষম হয়েছে এসএমই ফাউন্ডেশন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, এমপি বলেন, “দেশের এমএসএমই উদ্যোক্তাদের সব ধরনের সহায়তা দিচ্ছে এসএমই ফাউন্ডেশন। শিল্প মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় সারা দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের পণ্য উৎপাদন, বাজার সংযোগ সৃষ্টি, দক্ষতা উন্নয়নে কাজ করছে এসএমই ফাউন্ডেশন। এখন দরকার তাদের দক্ষতা উন্নয়ন। এসএমই ফাউন্ডেশনের উন্নয়ন কার্যক্রম দেশে দক্ষ উদ্যোক্তা তৈরির প্রয়াস আরো জোরদার করবে বলেও মনে করেন তিনি। এসএমই ফাউন্ডেশনকে প্রতি বছর নিয়মিতভাবে অর্থ বরাদ্দ দেয়ার বিষয়েও তিনি গুরুত্বারোপ করেন”।
শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এমপি বলেন, “বর্তমানে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এসএমই খাতের অবদান ২৫%। এসএমই নীতিমালা ২০১৯-এ ২০২৪ সালের এসএমই খাতের অবদান ৩২%-এ উন্নীত করার লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে। দেশের ৭৮ লাখ ১৩ হাজারের অধিক শিল্প প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শতকরা ৯৯ ভাগের বেশি কটেজ, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি বা সিএমএসএমই”।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, এমপি বলেন, “বর্তমানে ৭০০০ ডিজিটাল সেন্টারে ১৩ হাজার উদ্যোক্তা কাজ করছে। আইসিটি খাতে ২০২৫ সালের মধ্যে ৩০ লক্ষাধিক কর্মসংস্থান তৈরির করার লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে”।

সভাপতির বক্তব্যে এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোঃ মাসুদুর রহমান বলেন, “বাংলাদেশের শিল্প খাতে উন্নয়নের শুরুটা হয়েছিল হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে। ১৯৫৬ সালে বাণিজ্য, শিল্প, শ্রম, দুর্নীতি দমন এবং গ্রাম সহায়তা মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব পাকিস্তান ক্ষুদ্র ও শিল্প কর্পোরেশন (ইপসিক) প্রতিষ্ঠা করেন, স্বাধীনতার পর থেকে যা বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক)-এ পরিণত হয় এবং সেই ধারাবাহিকতায় ২০০৭ সালে এসএমই ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সিএমএসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। সরকারের দ্বিতীয় দফা প্রণোদনা প্যাকেজের মধ্যে বরাদ্দকৃত ১০০ কোটি টাকা ২৪ জুনের মধ্যে বিতরণ করতে সক্ষম হয়েছে এসএমই ফাউন্ডেশন। এসএমই উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে কার্যক্রম আরো বাড়াতে জনবল ও আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য রাজস্ব বাজেট থেকে এসএমই ফাউন্ডেশনের অনুকূলে সুনির্দিষ্ট বরাদ্দ প্রয়োজন।

ডেস্ক রিপোর্ট, উদ্যোক্তা বার্তা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here