জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার (জেডিপিসি) প্রাঙ্গণে পাটপণ্যের মেলা শেষ হলো আজ। ১২ থেকে ১৫ এপ্রিল চার দিনব্যাপী এ মেলা হওয়ার কথা থাকলেও পাটপণ্যের প্রদর্শন ও বিক্রয়ের দিক বিবেচনা করে মেলার সময় দুদিন বর্ধিত করা হয়েছিল।
আজ ১৭ তারিখ সমাপনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মেলা শেষ হয়। সমাপনী এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক, এমপি, মাননীয় মন্ত্রী, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়। বিশেষ অতিথি ছিলেন জনাব মোঃ মিজানুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সচিব, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় এবং সভাপতি রীনা পারভীন, নির্বাহী পরিচালক, জেডিপিসি।
মাননীয় মন্ত্রী জনাব গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, উদ্যোক্তাদের পণ্য প্রদর্শনের জন্য পার্মানেন্ট মেলার একটি স্থান নির্ধারণ করার জন্য চেষ্টা চলছে এবং কাঁচামাল সহজলভ্য করার জন্য কি কি করনীয় তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাটের ব্যবহার সার্বজনীন করতে পাটের পণ্য গিফট হিসেবে দেয়ার আহবান জানান”।
এ সময় ভারপ্রাপ্ত সচিব পাটকে মৌলিক তন্তু হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, “নতুন উদ্যোক্তারা যেন আগের মতো আবার এই পাট খাত উন্নত করে, তাই যে কোন মূল্যে তাদেরকে সুযোগ করে দেয়া হবে। এজন্য বিভিন্ন জায়গায় এমন মেলা আয়োজন করা হবে”।
জেডিপিসি’র নির্বাহী পরিচালক, রীনা পারভীনও কাঁচামাল তথা ফেব্রিক্সের সহজলভ্যতা নিয়ে অনেক ইতিবাচক কথা বলেন এবং উপস্থিত সকলকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ দিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে মেলার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
মেলায় আগত অনেক ক্রেতা-দর্শনার্থীদের সাথে মেলা সম্পর্কে কথা বলেছে উইবি প্রেস, তেমনই একজন মিলি সরকার। কলেজ পড়ুয়া এই শিক্ষার্থী বলেন, “আমি যখনই শুনি পাটপণ্যের মেলা হচ্ছে সেখানেই আমি যাই এবং কিছু না কিছু কিনি। আমার খুব ভালো লাগে যে ঘরোয়া ভাবেই পাট দিয়ে কতো সুন্দর সুন্দর পণ্য তৈরী করা যায়, খুব অবাক হই। এসব মেলায় আসলে আমারও একজন উদ্যোক্তা হতে ইচ্ছে করে”।
৪৬টি স্টলে সেজেছিলো এবারের এই মেলা এবং ২৮০ রকমের পাটপণ্য উৎপাদন এবং প্রদর্শন করছেন বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা। অনেক উদ্যোক্তাদের সাথেও কথা বলে জানা যায় তারা খুব আশাবাদী, তারা চায় এমন প্রচারণা এবং সরকারের সরাসরি হস্তক্ষেপ।
উদ্যোক্তাদের পণ্য ও সেবার প্রচার, প্রসার, বিক্রয় ও বাজার সম্প্রসারণ এবং পারস্পারিক সম্পর্ক উন্নয়ন করাই মূলত এইসব মেলার উদ্দেশ্য। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে জেডিপিসি পাটজাতপণ্যের বহুমুখীকরণ ও ব্যবহারের লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ অতীতে যেমন ভূমিকা রেখেছে, ভবিষ্যতেও রাখবে বলে মন্তব্য করেছেন উপস্থিত সকলে।
বিপ্লব আহসান