আক্তারের অ্যাকুরিয়ামে সাজছে রাজশাহীর ঘর

0

শহরকেন্দ্রিক জীবনধারায় ড্রইং রুমে একটি অ্যাকুরিয়াম সৌন্দর্য বাড়িয়ে তোলে নিঃসন্দেহে। ঘরের কোণের অ্যাকুরিয়ামে জীবন্ত বাহারী রঙের মাছগুলো যখন সাঁতার কাটে তখন মনে এক অন্যরকম ভালোলাগা জন্মায়।

গোল্ডফিশ, অ্যাঞ্জেল, শার্ক, টাইগার বার্ব, সিলভার, ডলার, কার্প নোজ, টের্টা, অ্যারোনা, রোজি বার্ব্ল্যাক অরেন্ডা ইত্যাদি সহ আরও নানা ধরনের রঙিন মাছ দিয়ে পাঁচ বছর ধরে বিভিন্ন সাইজের অ্যাকুরিয়াম তৈরি করছেন উদ্যোক্তা মো. আক্তার হোসেন।

নতুন উদ্যোক্তারা এই কাজ শুরু করলে হাতের কাছেই যাতে সব কিছু পেয়ে যায় এই কথা চিন্তা করে তার প্রতিষ্ঠান ‘এ্যাকুয়া ফিস ওয়ার্ল্ডে’ অ্যাকুরিয়াম তৈরির যাবতীয় উপাদান যেমন ‘গ্লাস, জার, বল জার, রঙ্গীন মাছ, মাছের খাদ্য, ঔষধ, ভিটামিন, পাথর কুচি, গাছ, পাম্প মেশিন, হিটার, আর্টিফিশিয়াল গাছ, আঠা ইত্যাদি যুক্ত করেছেন।

দীর্ঘদিন ধরে অ্যাকুরিয়াম তৈরির প্রতিষ্ঠানে কাজ করার সুবাদে সেখান থেকেই অ্যাকুরিয়াম তৈরির কাজ শেখেন আক্তার। ২০১৬ সালের দিকে ১ লাখ ৩০ হাজার মূলধন নিয়ে নিজের প্রতিষ্ঠান ‘এ্যাকুয়া ফিস ওয়ার্ল্ড’ গড়ে তুলেন তিনি।

রাজশাহী শহর সহো আশেপাশের বিভিন্ন এলাকায় যাচ্ছে মোঃ আক্তার হোসেনের শৌখিন এই পণ্য ‘অ্যাকুরিয়াম’। এছাড়াও রাজশাহী নগরীসহ আশপাশের এলাকায় রঙিন মাছ এবং অ্যাকুরিয়াম তৈরির উপাদান গুলোর ও ব্যাপক চাহিদা রয়েছে বলেও জানান এই উদ্যোক্তা। বিভিন্ন এলাকার বাড়িতে শোভা পাচ্ছে আক্তারের শৌখিন অ্যাকুরিয়াম। রাজশাহী নগরীর ভদ্রা বউবাজার এলাকায় উদ্যোক্তার প্রতিষ্ঠান ‘এ্যাকুয়া ফিস ওয়ার্ল্ড’ অবস্থিত।

উদ্যোক্তা আক্তার হোসেন জানালেন, ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী তিনি এক মিটার, দুই মিটার ও আড়াই মিটার বা এর থেকে বড় বা ছোট বিভিন্ন সাইজের অ্যাকুরিয়াম তৈরি করে থাকেন। যা কিনা তিনি ৭০০ থেকে সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি করে থাকেন।

গত পাঁচ বছরে কারো বাসার ড্রয়িং রুম আবার কারো অফিসে জায়গা করে নিয়েছে আক্তার হোসেনের অসংখ্য অ্যাকুরিয়াম। আক্তারের মাধ্যমে রাজশাহীর অনেক তরুণরাই উদ্যোক্তা হয়ে রঙিন মাঝ সহ অ্যাকুরিয়াম তৈরির কাজ করছেন।

আর রঙিন মাছ সহ অ্যাকুরিয়াম তৈরির যাবতীয় উপাদান হাতের নাগালে পেয়ে ইতোমধ্যে অনেক তরুণ উদ্যোক্তা হয়ে উঠছেন।

তামান্না ইমাম
উদ্যোক্তা বার্তা, রাজশাহী

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here