৯৫ শতাংশই রিপিট কাস্টমার শাম্মীর

0

সাত রং-এর সত্ত্বাধিকারী শাম্মী নাজের ৯৫ শতাংশ ক্রেতাই রিপিট কাস্টমার। ২০১৫ এর জুলাইয়ে যিনি প্রথম কাস্টমার ছিলেন তিনি আজও রয়েছেন নিয়মিত ক্রেতার তালিকায়।

মাসকলাই আটা, লাল গমের আটা, দারুচিনি গুড়া, হলুদ, মরিচের গুড়া, কালোজিরা তেল, সরিষার তেল, নারকেল তেল, জিরা গুড়া, ফ্রোজেন আইটেম, রেডি টু কুক আইটেম, সহ ব্লক বাটিক,বুটিক হাতের কাজের পোশাক ইত্যাদিতে সাজানো শাম্মী নাজের সাত রং এবং ব্লাক ডট পেজ।

পোশাক গ্রোসারি এবং ফুড আলাদা ভাবে উপস্থাপন করতেই মূলত দুটি পেজ চালু করেন এই উদ্যোক্তা।

উদ্যোক্তা শাম্মী নাজ ছয় বছর আগে ২০১৫ তে মাত্র ১ হাজার ছয়’শ টাকা পুঁজি নিয়ে হয়েছিলেন উদ্যোক্তা। হাতের কাজের পোশাক প্রথম পণ্য হলেও বছর পেরতেই পণ্য তালিকায় যুক্ত করেছেন গ্রোসারি আইটেম।

এরই মাঝে উদ্যোক্তা যুক্ত হলেন ‘উই’ গ্রুপে। সেখানে লক্ষ্য করেন অনেকেই দেশি পণ্য নিয়ে কাজ করছেন,লিখালিখি করছেন।

তিনি সেগুলো দেখে অনুপ্রাণিত হলেন।জন্মস্থান খুলনা হলেও বেড়ে উঠা এবং বর্তমান ঠিকানা রাজশাহীতে হওয়ায় তিনি চিন্তা করলেন আমি যেহেতু রাজশাহীর উদ্যোক্তা তাহলে এখানকার ঐতিহ্যবাহী খাবার কালাইরুটির জন্য ‘মাসকলাই আটা’ নিয়ে কাজ করবো।

এর পর এটি নিয়ে পড়াশোনা এবং উই তে লিখালিখি শুরু করলেন। এভাবেই, পোশাক, মাসকলাই আটা,হলুদ, মরিচের গুড়া ইত্যাদি যুক্ত হলো তার পণ্য তালিকায়। হলুদ মরিচ ইত্যাদি সংগ্রহের পর তিনি এগুলো তার সহযোদ্ধাদের সহযোগিতায় রেডি করেন।

কানাডা,দুবাই,ওমান,কলকাতা সহ আরো কয়েকটি দেশে ৮ বার শাম্মী নাজের বেডসিট,আচার,
তেল, মশলা, পোশাক ইত্যাদি পণ্য গেছে। এছাড়াও সারা দেশ থেকে নিয়মিত অর্ডার করছেন ক্রেতারা।

বাংলাদেশ পলিটেকনিক ও ‘ব্র্যাক’ এ আট বছর চাকুরি করার পর মেয়েকে সময় দেওয়ার জন্য চাকরি ছেড়েছিলেন শাম্মী নাজ।

নিজ উদ্যোগ থেকে আজ ঘরে বসেই মাসে আয় করছেন ৩০ হাজার বেশি টাকা। নিজ উদ্যোগের অর্থ দিয়ে জমিও কিনেছেন এই উদ্যোক্তা। পাশাপাশি ৭ জন সহযোদ্ধাকে স্বাবলম্বী হতেও সহযোগিতা করেছেন তিনি।

যে সকল মা-বোন এখনো অর্থের জন্য অন্যের ওপর নির্ভরশীল তাদের উদ্যোক্তা হওয়ার আহবান জানান উদ্যোক্তা শাম্মী নাজ।

তামান্না ইমাম
উদ্যোক্তা বার্তা, রাজশাহী

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here