৬ বান্ধবীর আলাম

0

পাহাড়ি নারীরা অনেকে ছোট থেকেই শিখে নেন হাতের তৈরি নানান কারুকার্য। কেউ কাপড় তৈরি, কেউ পোশাক, কেউবা গহনা তৈরি করার কৌশল ছোট থেকেই আয়ত্ত্ব করে নেন।

তাদের নিপুণ হাতের কারুকার্যের বিভিন্ন পণ্যের বিশাল চাহিদা রয়েছে শৌখিন মানুষদের মাঝে। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী পোশাকেরও রয়েছে বিশাল চাহিদা। এরকম পণ্য নিয়ে কাজ করছে ‘আলাম নারী উদ্যোক্তা সংস্থা’।

সংস্থার সভানেত্রী হ্যাপি চাকমা উদ্যোক্তা বার্তাকে জানান: অনেকটা শখের বশে অবসর সময় কাটাতে ছয় বান্ধবী মিলে অনলাইনে পেইজ খুলে ঐতিহ্যবাহি ড্রেস ও বিভিন্ন ড্রাই ফুড নিয়ে যাত্রা শুরু করি। উদ্যোগের পরিধি বাড়ার সাথে সাথে পরিচিত হই অনেকের সাথে। জয়িতা ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফরোজা খান ও প্রকল্প পরিচালক আরিফুল ইসলামের সহযোগিতায় ষ্টল পাই জয়িতা ফাউন্ডেশনের বিতান কেন্দ্রে। সেই থেকে জীবনের মোর ঘুরে দাঁড়ায়।

শখের বশে শুরু হলেও এখন উদ্যোগটাকে গুরুত্বের সাথে দেখছেন। তাদের ছয়জনের পাশাপাশি স্থায়ীভাবে কর্ম সংস্থান হয়েছে ১৫ জনের। অস্থায়ীভাবেও কাজ করেন ৫-৬ জন।

পাহাড়ি শাল থেকে শুরু করে পিনন হাদি, হাদি ওড়না, পিনন শাড়ি, হাদির তৈরি ওয়ান পিস, থ্রি পিস, মাফলার, হাদির ওড়না, ব্যাগ, ফতুয়াসহ বিভিন্ন ধরনের ঐতিহ্যবাহী পণ্যের সন্ধান মেলে ‘আলাম নারী উদ্যোক্তা সংস্থা’র ভাণ্ডারে। প্রতিদিনই অনেক ক্রেতার ভিড় দেখা মেলে তাদের স্টলে। মাসে ৫০-৬০ হাজার টাকার সেল করে থাকে আলাম।

নিবানি চাকমা, শিবানি চাকমা ও তিনা চাকমা কাঁচামাল সংগ্রহ থেকে উৎপাদন পর্যালোচনা করছেন। হ্যাপি চাকমা, রাখি সোনা চাকমা ও উর্মি চাকমা ভোক্তার কাছে পৌঁছানো পর্যন্ত সবকিছু দেখাশোনা করে থাকেন।

ভবিষ্যতে নিজেদের উদ্যোগ বড় করার পাশাপাশি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর নারীদের কর্মসংস্থান তৈরি করার মাধ্যমে সবাইকে স্বাবলম্বী করে তুলতে চান ছয় বান্ধবী। চান সবাইকে আত্মপ্রত্যয়ী করে তুলতে। পাহাড়ের ঐতিহ্যবাহী পণ্য সবার কাছে পৌঁছে দিতে চান তারা।

হাবিবুর রহমান,
উদ্যোক্তা বার্তা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here