৫ হাজার টাকা দিয়ে শুরু,এখন মাসেই বিক্রি ৭০ হাজার টাকা

0
উদ্যোক্তা মাহবুবা রহমান শিমু

পড়াশোনা শেষ করে কোথাও চাকরি করেননি মাহবুবা রহমান শিমু। ভাবছিলেন ঘরে বসেই একটা ভাল কাজ যায় কী না, যা সংসারের পাশাপাশি করতে পারবেন। সেই ভাবনা থেকে প্রথমে ৫০০০ টাকা দিয়ে তিনি একটি উদ্যোগ শুরু করেন। ৮টা ড্রেস কিনে আনেন। আনার পর ভাবতে থাকেন, কার কাছে বিক্রি করবেন? এইগুলা তার কাছ থেকে কে কিনবে? পাশের এক ভাবিকে দেখান। উনি দেখে আরও ভাবিদের সাথে বলেন। এভাবেই অফ লাইনেই তার ড্রেসগুলা বিক্রি হয়ে যায় এবং আরও অর্ডার আসতে থাকে। এখান থেকেই তার উদ্যোগ শুরু।

কাজ করছেন মেয়েদের ড্রেস নিয়ে। তিনি মেয়েদের ড্রেস সম্পর্কে ভালো বোঝেন এবং জানেন তাই এই পণ্য নিয়ে কাজ করছেন। মেয়েদের থ্রি পিস বিশেষ করে আমাদের দেশিয় পণ্যগুলোর উপর বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। তার উদ্যোগে সাহায্য করার জন্য দুইজন ডেলিভারি ম্যান আছে।

অনলাইনে ‘চাঁদের হাট’ নামে তার একটা পেইজ আছে। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে তার পণ্য আমেরিকা এবং লন্ডনে রপ্তানি হয়েছে। এছাড়া দেশের প্রায় প্রতি জেলায় তার পণ্য যায় কিন্তু নিজ শহরেই পণ্য যায় বেশি। মাসে তার ৫০ থেকে ৭০ হাজার টাকার পন্য বিক্রি হয়। ভবিষ্যতে শোরুম দেওয়ার চিন্তাভাবনা আছে উদ্যোক্তা মাহবুবা রহমান শিমুর।

নিজের উদ্যোগের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে উদ্যোক্তা জানান, ‘আলহামদুলিল্লাহ ভালো। ইতোমধ্যেই অনেক পরিচিতি পেয়েছি। সবার মুখেই চাঁদের হাট। মাঝে মাঝে নিজের নাম ভুলে যাই আমার উদ্যোগের নামই যেন আমার নাম। একজন সফল উদ্যোক্তা এখনো হতে পেরেছি কী না জানিনা তবে যতটা আসা করেছি তার থেকে অনেক বেশি ফলাফল পেয়েছি সব কিছুর পেছনে আমার স্বামীর অবদান অনেক বেশি। আমি আমার পরিবারের কাছ থেকে অনেক সাপোর্ট পেয়েছি’।

উদ্যোক্তা মাহবুবা রহমান শিমুর জন্ম শেরপুর সদর থানার ঢাকলহাটি গ্রামে। বাবা হাবিবুর রহমান ব্যাংকার ছিলেন এখন অবসরপ্রাপ্ত, মা নেই। ৫ ভাই বোনের মধ্যে তিনি তৃতীয়। ঢাকার সিদ্ধেশ্বরী গার্লস স্কুল থেকে এসএসসি, শেরপুর সরকারি মহিলা কলেজ থেকে এইচএসসি এবং শেরপুর সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ থেকে অনার্স মাস্টার্স পাশ করেছেন।

সাইদ হাফিজ,
উদ্যোক্তা বার্তা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here