২৪তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। আপনাদের নিয়ে এসএমই প্যাভিলিয়নে একজন উদ্যোক্তার স্টল ঘুরবো। ইউবি প্রেসের সাথে তার আলাপ চারিতা আপনাদের জন্য।
১৩ বছরে বিয়ে হয়ে যায় এক কিশোরীর। শ্বশুর বাড়িতেই হলো বাকি পড়াশোনা। আঁকাআঁকির প্রতি ভীষণ ঝোঁক ছিলো ইসরাতের, সেলাই এবং হাতের কাজেও ছিলো প্রবল আগ্রহ।
সংসার জীবনে কখনো নিজের জন্য কখনো স্বামীর জন্য পোশাক বানিয়েছেন নিজ হাতেই। সবাই তার পোশাকগুলো খুব পছন্দ করতেন। ননদের কাছ থেকেই পেলেন প্রথম অর্ডার। পরিবার পরিজন এর মাধ্যমে বাইরে থেকেও অর্ডার আসতে শুরু করলো। পরবর্তীতে কাজের চাপ বেড়ে যাওয়ায় ২-১ জন কর্মী নিয়ে ঘরোয়া ভাবে কাজ শুরু করলেন। এভাবেই চলতে থাকে বেশ কয়েক বছর।
২০০৭ সাল। পত্রিকায় দেখলেন এসএমই মেলার একটি বিজ্ঞাপন। বিজ্ঞাপন দেখে সিদ্ধান্ত নিলেন মেলায় অংশগ্রহণ করবেন। প্রথম বারেরমত মেলায় অংশগ্রহণ করে পেলেন ব্যাপক সাড়া। তখনই চিন্তা করলেন ব্যবসা প্রসারের।
এরপর সিলেট এবং ময়মনসিংহে এসএমই আঞ্চলিক মেলায় অংশগ্রহণ করে ১ম এবং ২য় হন উদ্যোক্তা ইসরাত কিবরিয়া। ব্যাংক থেকে কোন প্রকার আর্থিক সাহায্য সহযোগিতা ছাড়াই শুধু নিজের পুঁজি দিয়ে ফ্যাক্টরি দিলেন রাজশাহীতে। নাম দিলেন “কাজল বুটিক”। শুরুতে ১০ জন কর্মী নিয়োগ দিলেও, বর্তমানে ফিল্ডে কাজ করছেন ৮০০ থেকে ১০০০ জন কর্মী।
উৎপাদিত পণ্যের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন রকমের থ্রিপিস, শাড়ি, পাঞ্জাবী, বিছানার চাদর, কুশন কাভার ইত্যাদি পণ্য। এছাড়াও রাজশাহীর ঐতিহ্যবাহী সিল্ক ও মসলিন নিয়ে কাজ করছেন উদ্যোক্তা ইসরাত কিবরিয়া।
উদ্যোক্তা ইসরাত ইউবি প্রেসকে জানান, তৃতীয় বারেরমত এসএমই ফাউন্ডেশনের আওতায় আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় অংশগ্রহণ করে বেশ সাড়া পাচ্ছেন। ক্রেতারা তার পণ্যের গুণগত মান ও ডিজাইনের ভিন্নতা দেখে খুব পছন্দ করছেন তাই বিক্রি বেড়েছে এবার।
অনেক দিনের স্বপ্ন, নিজের অর্থেই গড়বেন নিজের বাড়ি। তাই করলেন ইসরাত। গড়ে তুললেন নিজের স্বপ্নের নীড় “রহমতে এলাহী”।
মাত্র ২০০০ টাকা দিয়ে শুরু করে ২০ বছর পর আজ তার ব্যবসার পরিধি প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা। সফলতার সাথে ব্যবসা করছেন। কর্মসংস্থান করেছেন হাজার কর্মী।
শারমীন আয়াত ও শুভ হাসান