তিন দিন ব্যাপি স্কিটি উদ্যোক্তা হাট অনুষ্ঠানের সমাপনী অনুষ্ঠান শেষ হয় বাচ্চাদের চিত্রাঙ্কন প্রতোযোগিতা এবং স্বেচ্ছাসেবকদের পুরস্কার প্রদানের মাধ্যমে।

 

স্কিটি অ্যালামনাই এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (সাব) এর আয়োজনে তিন দিন ব্যাপী মেলার পাশাপাশি ছিলো শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগিতাটি তিনটি ক্যাটাগরিতে সম্পন্ন হয় ক,খ ও গ গ্রুপে। তিনটি ক্যাটাগরী থেকে ২২জন ক্ষুদে শিল্পীদের সম্মাননা দেওয়া হয়।

এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিসিক চেয়ারম্যান অতিরিক্ত সচিব মো. মোশতাক হাসান, বিসিক উপসচিব মোস্তাক আহমেদ, মেলার আহবায়ক ও সাবের ইসি কমিটির সদস্য উদ্যোক্তা গাজী তৌহিদুর রহমানসহ স্কিটি অ্যালামনাই এসোসিয়েশন সদস্যরা।

 

অনুষ্ঠানে বিসিক চেয়ারম্যান মো.মোশতাক হাসান বলেন, ‘আমি অ্যালামনাই এসোসিয়েশনকে অনেক ভালবাসি। হাজার হাজার মানুষ স্কিটি থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে তারা লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান তৈরী করছেন। মহিলারা ব্যবসা করার মাধ্যমে তারা নিজেরা যেমন সাবলম্বী হয়ে উঠছেন সেইসাথে অনেকের কর্মসংস্থান করছেন। সব সেক্টরে মেয়েরা কাজ করছে ব্যবসায়ও মেয়েরা এগিয়ে যাবে। তাদের পাশে বিসিক আছে। আমাদের নতুন স্লোগান ‘ ডোন্ট সিক জব, ক্রিয়েট জব ‘। এছাড়াও সাবের উদ্যোগে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতাকে নিয়ে বলেন, অবশ্যই এটা একটা ভালো উদ্যোগ। বাচ্চাদের মধ্যে এখন থেকে চেতনা তৈরি হবে।সেই সাথে মায়েদেরকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন।এখন থেকে বাচ্চাদের আত্মবিশ্বাসী, ক্রিয়েটিভিটির মধ্যে রাখতে হবে যাতে ওরা বড় হয়ে ভবিষ্যতে দেশ ও জাতির সেবা করতে পারে দায়িত্ব নিতে পারে।গ্রামীণ পরিবেশের সাথে বাচ্চাদের মেলামেশা করার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য আহবান জানান।

মেলার আহবায়ক গাজী তৌহিদুর রহমান নিজের অভিজ্ঞতার কথা বলেন। বিসিক থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে তিনি এখন সফল ব্যবসায়ী। ঔক্য স্টোর এর প্রস্তাবনা নিয়ে বলেন। অফলাইন এবং অনলাইন দুই মাধ্যমেই কাজ করতে চান উদ্যোক্তার সাথে ঔক্য ফাউন্ডেশন। এছাড়াও বলেন, পরামর্শ দিয়ে উদ্যোক্তাদের সাথে সারাক্ষণ যোগাযোগ রেখে কাজ করতে চায় সাব। ভবিষ্যতে সাবের ডেস্ক থাকবে উদ্যোক্তাদের জন্য যেখানে সব রকম সহযোগিতা পাবেন উদ্যোক্তারা। সবার শেষে মেলার সাথে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বক্তব্য শেষ করেন।

বিসিকের উপসচিব মোস্তাক আহমেদ, স্কিটি অ্যালামনাই এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (সাব) এর সবাইকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন প্রতিটা জাতির একটা নিজস্ব সংস্কৃতি আছে যেমন, তার পোশাক, পরিচ্ছেদ, চলাফেরা। এগুলো ধরে রাখা আমাদের দায়িত্ব। আর এগুলো ধরে রাখছে বিসিক। আমরা দেশের মাটিতে যেমন শাড়ি,সালোয়ার কামিজ পড়ে ঘুরি বিদেশে তা করি না তাতে আমাদের সাংস্কৃতি নষ্ট হচ্ছে আমরা আমাদের সাংস্কৃতিকে লালন করতে পারছি না মনে প্রাণে। সাংস্কৃতিকে লালন করে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে যার জন্য বিসিকের ভুমিকা অপরিসীম।

তিন দিন ব্যাপী স্কিটি উদ্যোক্তা হাট ও বার্ষিক সম্মেলন বেশ উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্যে দিয়ে শেষ হয়।

 

খাদিজা ইসলাম  স্বপ্না

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here