ঢাকাতে জন্ম এবং বেড়ে উঠা পাপিয়া হাসনার। ইডেন কলেজ থেকে অর্থনীতিতে অনার্স-মাস্টার্স করে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি থেকে উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে দেশীয় পণ্যের উদ্যোক্তা হয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
ছোটবেলা থেকে ছবি আঁকার পাশাপাশি নিজেই ডিজাইন করে নিজের জামা বানানোতে বেশ আগ্রহী ছিলেন পাপিয়া হাসনা। লেখাপড়া শেষে শিক্ষকতা দিয়ে কর্মজীবন শুরু হলেও সংসার জীবনে এসে উপলব্ধি করলেন, সন্তানদের বেড়ে ওঠার জন্য তাদের আরও একটু সময় দেয়া উচিত। তাই ছকে বাঁধা চাকরি ছেড়ে দিয়ে উদ্যোক্তা জীবনটাকেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যময় মনে করলেন তিনি।
উদ্যোক্তা পাপিয়া হাসনা উদ্যোক্তা বার্তাকে জানান, ফেইসবুকে Cotton N Button পেইজ ওপেন করি ২০১৭ সালে। কিন্তু আরও আগে থেকেই আমি উদ্যোক্তা হয়ে কাজ করছিলাম।
তিনি বলেন: নিজের জমানো ১০-১২ হাজার টাকা পুঁজি দিয়ে প্রথম উদ্যোগ শুরু করি। এরপর আমার নিজের বাসার একটা রুমে এমব্রয়ডারি মেশিন, সেলাই মেশিন বসিয়ে ছোট্ট একটা কারখানা। সেখান থেকেই কাজ করে যাচ্ছি। সারা মাসই ভালো বিক্রি হয়. তবে ঈদ, বৈশাখ এবং বিশেষ কোন উপলক্ষে অর্ডার বেড়ে যায়। দেশীয় শাড়ি, ব্লক, বাটিক কামিজ, বেড কাভার, টেবিল ম্যাট, হাতে তৈরি গয়না ইত্যাদি দেশী পণ্য নিয়ে কাজ করছি।
আশেপাশের অনেক মানুষ তার উদ্যোক্তা হওয়া বিষয়টি প্রথমে সহজভাবে মেনে নেননি। ‘এতো লেখাপড়া করে শেষ পর্যন্ত কাপড়ের বিজনেস করো’- এরকম মন্তব্য প্রায়ই শুনতে হতো, এখনও শুনতে হয়। তারপরও তিনি থেমে যাননি। নিজের লক্ষ্যে অবিচল এগিয়ে চলেছেন।
“উদ্যোক্তা হওয়ার লক্ষ্যে আমার মা আমাকে সবসময় উৎসাহ দিয়েছেন। উদ্যোগের জন্য অর্থপ্রাপ্তি থেকে শুরু করে যেকোন ধরনের বড় সিদ্ধান্তে আমি মায়ের পরামর্শেই এগিয়ে গিয়েছি,” বলে জানান তিনি।
তরুণ উদ্যোক্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন: যা আপনি ভালো পারেন, যেটা করলে আপনি তৃপ্তিবোধ করেন- তা নিয়েই শুরু করবেন। কখনো হতাশ হবেন না, হাল ছাড়বেন না, সুদিন আসবেই।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে পাপিয়া হাসনা জানান, ”আমি যেহেতু দেশীয় পণ্য নিয়ে কাজ করি , আমি চাই আমার পণ্য দেশের সীমানা পেরিয়ে দেশের বাইরেও জায়গা করে নিক।”
আফসানা অভি
উদ্যোক্তা বার্তা