পেঁয়াজের ঘাটতি পূরণে রাজশাহী জেলার কৃষকরা গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষে বিপ্লব ঘটিয়েছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, রাজশাহীর কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় এন-৫৩ জাতের পেঁয়াজ চাষে এই সফলতা এসেছে।
গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষে সফলতা উপলক্ষে বুধবার সন্ধ্যায় নগর ভবনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটনের সাথে সাক্ষাৎ করে এন-৫৩ জাতের পেঁয়াজ হস্তান্তর করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, রাজশাহীর কর্মকর্তারা। এন-৫৩ জাতের পেঁয়াজ চাষে সফলতা অর্জন করায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও কৃষকদের অভিনন্দন জানান রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।
সাক্ষাৎকালে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, রাজশাহী অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মোঃ শামছুল ওয়াদুদ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, রাজশাহী জেলার উপপরিচালক মোঃ মোজদার হোসেন ও জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার মোছাঃ উম্মে ছালমা।
রাজশাহী জেলার উপপরিচালক মোঃ মোজদার হোসেন বলেন, কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ১ম ও ২য় পর্যায়ে রাজশাহী জেলায় মোট ৪ হাজার কৃষককে ১ কেজি করে মোট চার হাজার কেজি এন-৫৩ জাতের গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের বীজ দেওয়া হয়েছে, যা দিয়ে মোট ছয় হাজার বিঘা জমিতে এই পেঁয়াজ চাষ করা সম্ভব। প্রথম পর্যায়ে লাগানো পেঁয়াজ ইতোমধ্যে বাজারে আসা শুরু হয়েছে। বিঘা প্রতি ৬০ থেকে ৬৫ মণ ফলন পাওয়া যাচ্ছে। গাছসহ এই পেঁয়াজ বিক্রয় করতে পেরে চাষীরা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন এবং তাদের দেখে অন্য কৃষকরাও এই জাতের পেঁয়াজ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।
তিনি জানান, অক্টোবর-নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে বাজারে যখন পেঁয়াজের সরবরাহ কম থাকে, তখন এন-৫৩ জাতের পেঁয়াজ চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করবে বলে আমরা আশা করছি।
মোঃ মোজদার হোসেন বলেন, জুলাই-আগস্ট মাসে বীজ বপণ করে ২৫-৩০ দিন বয়সের চারা রোপণ করতে হয়। ৯০ দিনের মধ্যে এই জাতের পেঁয়াজ সংগ্রহ করা সম্ভব। এই পেঁয়াজ চাষে কৃষকরা যেমন লাভবান হবেন, তেমনি আমদানি নির্ভরতা কমবে এবং মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হবে।
ডেস্ক রিপোর্ট,
উদ্যোক্তা বার্তা