অনেক আগে থেকে অফলাইনে ব্যবসা করতেন কুমকুম নাহার । হঠাৎ একদিন মেয়ের বান্ধবী তাকে উই ‘তে এড করে দেয় । তিনি জানান ওখানকার বিভিন্ন নারী উদ্যোক্তাদের পোষ্ট পড়ে আমিও উৎসাহ পাই, আমারও মনে হতে থাকে – আমিও আমার ব্যবসাটাকে আরো একটু ভালো ভাবে করি, এতে নিজের একটা পরিচয় তৈরি হবে, নিজে স্বাবলম্বী হতে পারবো , আমাকে দেখে আরো মেয়েরা উৎসাহ পাবে এবং সেই সাথে আমি নিজে কিছু নারীরও কর্মসংস্হান করতে পারবো, সেই ভাবনা থেকেই উদ্যোক্তা হলেন — জানান উদ্যোক্তা কুমকুম নাহার ।
কুমকুম নাহার শুরুটা করেছিলেন ২০০০ সালে, বিভিন্ন রকমের নকশিকাঁথা, নরমাল কাঁথা, ছাপা কাঁথা, আর্ট করা সব ধরনের কাথাঁর কাজ দিয়ে । এছাড়াও তার প্রতিষ্ঠানে রয়েছে কাটারি চিকন চাল, সুগন্ধি আতপ চাল, চালের আটা, চালের ছাতু, সরিষার খাঁটি তেল ঘানি তে ভাঙা, গরুর মাংসের আচার, দই, দুধ, রেডি হাঁসের মাংস রান্না , দেশি মুরগী রান্না , কেমিক্যাল মুক্ত ফল , হাতের কাজের থ্রিপিস, মেথি গুড়া, মেহেদী গুড়া, নারিকেলের নাড়ু, ছাতুর নাড়ু , ঘি এবং মহাস্থানের কটকটি সহ নানা পণ্য নিয়ে তিনি কাজ করছেন ।

কুমকুম নাহারের অনলাইন পেইজের নাম –
” রকমারি পণ্যের বাহার ” । তিনি হাসতে হাসতে জানান ” রকমারি জিনিস নিয়ে কাজ করি তাই নামও দিয়েছি ” রকমারি পণ্যের বাহার ” । তার প্রতিষ্ঠানে এখন ২০ জন সহকর্মী রয়েছে । তিনি জানান – প্রথমে আমি ২০০৭ থেকে অফলাইনেই কাজ করছিলাম তারপর ২০২০ থেকে আমার মেয়ের অনুপ্রেরণায় অনলাইনে কাজ করতে শুরু করি ।
স্বামী আর পরিবারের সর্মথনেই ঘরে বসে বিভিন্ন পন্য নিয়ে কাজ করে নিজেকে আর পরিবারকে স্বাবলম্বী করেছেন উদ্যোক্তা কুমকুম । মাসে এখন তার সর্বনিম্ন ২৫০০০ টাকার পণ্য বিক্রি হয় । নারী পুরুষ সব ধরনেরই ক্রেতা তার পণ্য ক্রয় করে থাকে ।

বগুড়ার মেয়ে কুমকুম নাহার, দাখিল পাস করে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন বিসিক থেকে । এরপর খাদ্য অধিদপ্তর থেকে খাদ্য কর্মসূচির উপরও প্রশিক্ষণ নিয়েছেন – তিনি জানান ।
তরুন উদ্যোক্তাদের জন্য উদ্যোক্তা কুমকুম নাহার বলেন – আপনারা অযথা সময় নষ্ট না করে উদ্যোক্ত হতে পারেন , ফ্রীল্যান্সিং করতে পারেন ।
চাকরির আশায় বসে না থেকে নিজে কিছু করুন ।
এই উদোক্তা জানান ; তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা দেশের গন্ডি পেরিয়ে তার পণ্য একদিন বিদেশেও রপ্তানি হবে ।
আফসানা অভি
উদ্যোক্তা বার্তা