তরুণ উদ্যোক্তা কাজী নাঈম

 ২০১৫ সালে এক রকম শূন্য হাতেই যাত্রা শুরু হয় কোর ফেসিলিটেশনের। ব্যাংক লোন কিংবা কোন আর্থিক সাহায্য ছাড়াই শুধুমাত্র নিজের মেধা এবং অভিজ্ঞতার মাধ্যমে কাজী নাঈম প্রতিষ্ঠা করেন ‘কোর ফেসিলিটেশন’।

মেধাভিত্তিক ব্যবসার প্রসার বাংলাদেশে কম হলেও বিশ্বজুড়ে এর ব্যাপক ব্যপ্তি রয়েছে। মূলধনের অভাবে ব্যবসার যাত্রা যাতে ব্যাহত না হয় তাই নিজের বাসার নিচে এক রুমের একটি অফিস গড়ে তোলেন কাজী নাঈম। সেখান থেকেই শুরু হয় কোর ফেসিলিটেশন এর জয়যাত্রা।

বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি ঢাকায় দু’টি অফিস নিয়ে সারা দেশে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ইতিমধ্যে তাইওয়ান, ফিলিপাইন এবং আমেরিকার কয়েকটি বড় প্রতিষ্ঠানের সাথে কোর এবং তার অঙ্গসংস্থান এর চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

উদ্যোক্তা ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানসমূহের সহকর্মীগণ

উদ্যোক্তা হওয়া অনেকের স্বপ্ন হলেও সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে পারে অল্পসংখ্যক কিছু মানুষ। সেইসব আশাবাদী মানুষকেই স্বপ্ন দেখান কাজী নাঈম তার প্রতিষ্ঠান কোর ফেসিলিটেশন এর মাধ্যমে। মূলত কর্পোরেট ট্রেনিং নিয়ে কাজ শুরু করলেও কোর ফেসিলিটেশন বর্তমানে উদ্যোক্তা তৈরীর জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উদ্যোক্তাদের ব্যবসা করার জন্য তৈরি করে থাকেন।

কোর ফেসিলিটেশন বিশেষ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উদ্যোক্তাদের ব্যবসা করার জন্য তৈরি করছেন

কর্পোরেট ট্রেনিং এর বাইরেও এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে হেড হান্টিং এবং রিক্রুটমেন্ট  সার্ভিস প্রদান করা হয়।

প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার কাজী নাঈম জানান, উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্নে যখন তিনি বিভোর ছিলেন তখন সমাজ ও পারিপার্শ্বিকতা থেকে বিভিন্ন ধরনের বাধা এবং বিপত্তির কারণে তার স্বপ্নযাত্রায় পৌঁছাতে পারছিলেন না। তখন থেকেই নেতিবাচক মানসিকতার মানুষ কে ইতিবাচক করাকে তিনি পেশা হিসেবে গ্রহণ করেন। তরুণ উদ্যোক্তারা যাতে নেতিবাচক মানুষের দ্বারা প্রভাবিত না হয় সেজন্য তিনি বিভিন্ন ধরনের কর্মশালা পরিচালনা করেন।

কাজী নাঈম এর মতে একজন সফল উদ্যোক্তার প্রধান হাতিয়ার হচ্ছে দৃঢ় মানসিকতা। কোন একটি বিশেষ কাজে যদি দৃঢ় সংকল্প এবং যথাযথ প্রস্তুতি থাকে তবে লক্ষ্যে পৌঁছানো শুধুমাত্র সময়ের ব্যাপার।

কোর ফেসিলিটেশন এর মাধ্যমে কাজী নাঈম বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মসংস্থান এর ব্যবস্থা করেছেন কয়েক হাজার মানুষের। তার হাত ধরে পার্কিং কই, মেডিটর এবং আরও অনেক স্টার্টআপ কোম্পানি বাংলাদেশে সফল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। ব্যতিক্রমধর্মী এই পেশায় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়েছে তাকে বেশ কয়েকবার। কিন্তু হার না মানা মানসিকতা তাকে সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা যোগায়। ব্যবসায় ঝুঁকি থাকে এবং সেই ঝুঁকিকে কিভাবে লাঘব করা যায় সেটাই তার প্রশিক্ষণের মূল প্রতিপাদ্য।

উদ্যোক্তা ও তার ট্রেনিং সেশনের তরুণ উদ্যোক্তাগণ

কাজী নাঈম মনে করেন একটি সফল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে সমাজ থেকে নানাবিধ অসঙ্গতি দূর করতে সক্ষম হয়।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমি স্বপ্ন দেখি আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে বহুজাতিক কোম্পানিতে পরিণত করার এবং আশা করছি ভবিষ্যতে আমরা বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দেশে ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটমেন্ট দিবো যেনো বাংলাদেশী ট্রেইনারগণ বিদেশে গিয়ে ট্রেনিং করানোর মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করতে পারেন এবং নিজের দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অংশগ্রহণ করতে পারেন।”

জেবুননেসা প্রীতি
এসএমই করেস্পন্ডেন্ট ,উদ্যোক্তা বার্তা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here