ফাইন্যান্স এন্ড একাউন্টিং এ বিবিএ করে ব্যাংকে জয়েন করেন তারমিহিম তানিয়া। পারিবারিক জটিলতার কারণে ছেড়ে দিতে হল ব্যাংকের চাকরি। একজন কর্মজীবী নারীর নিজ উপার্জনের পথ একেবারে বন্ধ হয়ে গেলো। হাত-পা গুটিয়ে ঘরে বসে থাকাটা ভীষণ মানসিক পীড়া দিচ্ছিল তানিয়াকে। ২০১৩ সাল। যখন মানুষের অনলাইন কেনাকাটায় তেমন আনাগোনা ছিল না, তানিয়া নিয়ে ফেললেন তার উদ্যোগ। নিজে বিভিন্ন অনলাইন থেকে পণ্য কিনতেন, আইডিয়া নিতেন কি করে অনলাইন বিজনেস করা যায়৷
তৈরি করলেন একটা ফেসবুক পেজ। নাম দিলেন “নিখুঁত সৃষ্টি”। যেখানে পাওয়া যাবে কুর্তি, গাউন, ফতুয়া সহ বিভিন্ন লেডিস ড্রেস। কাপড় কেনা থেকে শুরু করে, ডিজাইন,কাটিং এবং ড্রেস মেকিং পুরোটাই করতেন তানিয়া নিজে। সফলতার সাথে পার করলেন একটি বছর। ২০১৪-২০১৫ সাল। বন্ধ রাখতে হল উদ্যোগ।
তানিয়ার কোলজুড়ে এল ফুটফুটে এক কন্যা শিশু। বাচ্চার জন্য নিজেই ড্রেস ডিজাইন করতেন। নিজের বাচ্চাকে সাজাতে গিয়ে বেবী ড্রেস বানানোর অনুপ্রেরণা পান ২০১৫ সালে। এবারে পার্টনার হিসেবে সাথে নিলেন বান্ধবীকে। ৬ মাস ছিল না কোন কর্মী। দুই বান্ধবী দুই প্রান্তে বসে অনলাইনেই শেয়ার করতেন ড্রেসের নিত্যনতুন ডিজাইন ও আইডিয়া।
এক্সপেরিমেন্ট হিসেবে ১৫০০ টাকা দিয়ে বানালেন বিভিন্ন ডিজাইনের ১১ টি বেবী ড্রেস। আবারও একটি ফেসবুক পেজ, নাম দিলেন ব্র্যান্ড আই- যেখানে ছোট্ট সোনামণিদের জন্য বানানো ড্রেসের ছবি তুলে আপলোড করলেন তানিয়া। সেল হওয়া শুরু হল ড্রেসগুলো। মিলল ভীষণ সাড়া।
নিত্যনতুন ডিজাইন নিয়ে হাঁটিহাটি পা পা করে চার বছর পার করেছে তানিয়ার ব্র্যান্ড আই। ৫ জন কর্মীর কর্মসংস্থান করে পাঁচ লক্ষ টাকা মূল্যমানের ব্যবসা পরিচালনা করছেন উদ্যোক্তা।
ডেস্ক রিপোর্ট, উদ্যোক্তা বার্তা