মহামারী করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সরকারি অথবা বেসরকারি ভাবে নতুন কোন অস্থায়ী হাসপাতাল তৈরী করতে চাইলে সকল প্রকার কারিগরি সহায়তা দিবে দেশের প্রকৌশলীদের একমাত্র জাতীয় প্রতিষ্ঠান ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)।

সম্প্রতি আইইবি এবং ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল অফ ইঞ্জিনিয়ার্স, অস্ট্রেলিয়া (আইসিইএ) যৌথ আয়োজিত টেলিকনফারেন্স ওয়েবিনারে কোভিড-১৯ পরবর্তী পুনরুদ্ধার শীর্ষক আলোচনায় আইইবি’র নেতৃবৃন্দ এই আশ্বাস দেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইইবি’র প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী মো. আবদুস সবুর এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইইবি’র সম্মানী সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী খন্দকার মনজুর মোর্শেদ।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাবের প্রথম দিকে পৃথিবী অনেকটা স্থবির হয়ে পরেছিল। প্রযুক্তির সহায়তায় বিশ্ব এখন স্থবিরতা কিছুটা হলেও কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছে। এই মহামারি করোনা ভাইরাস কখন পৃথিবী থেকে একবারে নির্মুল হবে তা এখনো বলা যাচ্ছে না। তবে আশা করা যাচ্ছে খুব তাড়াতাড়ি করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিস্কার হয়ে যাবে।

বক্তারা আরো বলেন, এই মহামারি পৃথিবী থেকে পুরোপুরি বিদায় নিলে মানুষের জীবন যাত্রায় অনেক পরিবর্তন আসবে। তখন কিভাবে দ্রুত অর্থনীতির চাকা সচল করা যায় সেই পরিকল্পনা এখন থেকেই করতে হবে। করোনা ভাইরাস পরবর্তী সময়ে যেন বাংলাদেশের অর্থনীতিও খুব দ্রুততার সাথে এগিয়ে যায় সেই লক্ষ্যে যৌথ ভাবে কাজ করবে আইইবি এবং আইসিইএ। এছাড়া দেশে সকল উন্নয়ন প্রকল্পের সব টেকনিক্যাল সেক্টরে প্রকৌশলীদের নিয়ে সমন্বিতভাবে কাজ করার আহবান জানানো হয়।

তারা বলেন, যদি কোন প্রতিষ্ঠান এই মহামারি করোনা ভাইরাসের সময় অস্থায়ী হাসপাতালের জন্য আইইবি’র কাছে কারিগরি সহায়তা চায় তাহলে আইইবি সব ধরণের কারিগরি সহায়তা দিতে প্রস্তুত রয়েছে।

অনুষ্ঠানে আইসিইএ-এর সভাপতি প্রকৌশলী নুসরাত ইসলামের সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইসিইএ-এর প্রধান উপদেষ্টা প্রকৌশলী খন্দকার সালেক সুফি, সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মেহেদী হাসান, সহসভাপতি ড. নরোত্তম দাস এবং আইইবি’র কম্পিউটার ডিভিশনের সেক্রেটারি প্রকৌশলী রনক আহসান।

ডেস্ক রিপোর্ট, উদ্যোক্তা বার্তা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here