মাছ চাষে মোবাইল অ্যাপ

0

জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার নীলতাপাড়া গ্রামের মৎস্যচাষি আহমদুল্লা নিরাপদ ও আধুনিক মোবাইল অ্যাপের সাহায্যে মাছ চাষ করছেন। এতে করে ক্ষতি কাটিয়ে দ্বিগুণ-তিন গুণ লাভবান হচ্ছেন বলে জানান আহমদুল্লা।

তিনি বলেন, আগে যে পুকুরে বছরে ১ হাজার মণ মাছ উৎপাদন হতো এই পদ্ধতি ব্যবহার করে একই পুকুরে এখন ২ থেকে ৩ হাজার মণ মাছ পাওয়া যায়। ফলে আমি আগের চেয়ে অনেক বেশি লাভবান হচ্ছি।
আহমাদুল্লা আরও জানান, পুকুরে মাছ চাষ করলে কখন কী পরিমাণ খাবার দিতে হবে সঠিক পরিমাণ জানা ছিল না। পানিতে অক্সিজেনের পরিমাণ কেমন অনুমান করা যেতো না। মাছের রোগ কী কারণে হয় তা-ও জানতাম না।

জয়পুরহাট রুরাল ডেভেলপমেন্ট মুভমেন্টের (জেআরডিএম) দেওয়া মোবাইল অ্যাপ এখন সব বলে দেয়। আমি যেখানেই থাকি না কেন আমার মোবাইলের অ্যাপের মাধ্যমে পুকুরের মাছসহ সব তথ্য সহজেই পেয়ে যাই। এই পদ্ধতিতে মাছ চাষ করে আমি এখন অনেক লাভবান হচ্ছি।

জেআরডিএম’র কারিগরি এবং পিকেএসএফের সহযোগিতায় আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিল (ইফাদ) নিজস্ব অর্থায়নে নিরাপদ ও আধুনিক পদ্ধতিতে মাছ চাষের ওপর কাজ করছে।


IOT একটি এ্যাপস, যে এ্যাপসের মাধ্যমে কৃষক পানির ডিজারর্ভ অক্সিজেন, এমোনিয়া, গ্যাস, টেম্পারেচার সব ধরনের গুণগত মান যা মাছ চাষের জন্য উপযুক্ত সেগুলো নির্বাচন করে কৃষক সেই অনুযায়ি কাজ করতে পারে। যখন পানির এ্যামোনিয়া, অক্সিজেন এগুলো কমে যায় কৃষকের মোবাইলে আসে সে মোবাইলে টের পায়৷ টের পেলে সাথে সাথে একশন নিতে পারে – এটি আগে ছিলো না যার ফলে মরটালিটি জিরোর পর্যায় গিয়েছে।
আগে অক্সিজেনের অভাবে মাছ মরে যেত, এখন এ্যাপস ব্যবহারের ফলে মাছ মরছে না, ফল আয় বাড়ছে।

নিরাপদ মৎস্য উৎপাদন ও দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে মাছ চাষে মোবাইল এ্যাপের ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা। মৎস চাষে মোবাইল এ্যাপের ব্যবহারে সাড়া ফেলেছে বেশ।

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) ইফাদের বাংলাদেশ কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. ভ্যালেন্টাইন আচানচোর নেতৃত্বে ৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল নীলতাপাড়ায় পুকুরে মাছ চাষ সরেজমিনে পরিদর্শন করেন।

এ সময় তিনি পুকুরের মালিকসহ অনেকের সঙ্গে কথা বলেন। প্রতিনিধিদলের সঙ্গে ছিলেন পিকেএসএফের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. আকন্দ মো. রফিকুল ইসলাম, উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মাহমুদা খাতুন পপি,জেআরডিএমের নির্বাহী পরিচালক রাজিয়া সুলতানা, পরিচালক মো. শওকত আলী, সহকারী পরিচালক কৃষিবিদ এন এম ওয়ালিউজ্জামানসহ অনেকেই। পরে উপজেলার শালাইপুর চৌধুরী হ্যাচারিও পরিদর্শন করে প্রতিনিধিদল।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here