দীপ কালরা

অনেকেই মনে করেন সাফল্য রাতারাতি আসে। কিন্তু না, সাফল্য কখনো রাতারাতি আসে না। সফল হওয়ার জন্য প্রচুর ধৈর্য ধরতে হয় এবং কষ্ট করতে হয়। যদি কেউ রাতারাতি সফলতা অর্জন করতে চায় তাহলে তার দরকার হয় মূলধন আর প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করার জন্য সুনির্দিষ্ট কর্মপন্থা। দীপ কালরা’র প্রতিষ্ঠান ‘মেকমাইর্ট্রিপডটকম’ এমন একটি প্রতিষ্ঠান যারা আজ অগাধ মূলধনের জন্য সফলতা অর্জন করেছে। নিজের সমস্ত রক্ত, ঘাম এবং অশ্রু ঠেলে দেওয়ার পরে তিনি আজ এই অবস্থায় এসেছেন।

তার তৈরী করা ট্রাভেলস এজেন্সি পুরো ভারতের মধ্যে সবচেয়ে বড় অনলাইন ট্রাভেলস এজেন্সিতে রূপান্তর হয়েছে।

দীপ কালরা ভারতে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৮৭ সালে সেন্ট স্টিফেন কলেজ থেকে অর্থনীতি বিভাগে স্নাতক সম্পন্ন করার পর এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন। একটি ব্যংকে প্রায় ৩ বছর চাকরি করার পর সেই চাকরি ছেড়ে দেন। চাকরি ছাড়ার প্রায় বছরখানেক সময় বিরতি নেন কেননা তিনি সব সময় চাইতেন নতুন কিছু তৈরী করতে।

তবুও এই বিরতিকালীন সময়ে তিনি অনেক জায়গায় থেকে চাকরির সুযোগ পেয়েছিলেন , করেছিলেনও কিছু। তবে কোনটাতেই ভালোভাবে মন বসাতে পারেননি তিনি।

১৯৯৯ সালের দিকে ভারতে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেশ সমৃদ্ধ হচ্ছিল। এই সময় তিনি লক্ষ্য করলেন যে, বিভিন্ন খাতে ইন্টারনেট ব্যবহারের সংখ্যা দিনদিন বেড়েই চলেছে। তিনি তখন এই ইন্টারনেট ব্যবহারকে ব্যবসায়ে রুপান্তুর করার ছক আকতে শুরু করলেন।

অনেক দিক দিয়ে তিনি গবেষণা করলেন কিভাবে কাজ করা যায়। অবশেষে তিনি খুজে পেলেন যে, ট্র্যাভেল বুকিং এজিন্সিগুলোর অবস্থা খুবই খারাপ। আর প্রতিদিন ভ্রমণকারীর সংখ্যাতো বেড়েই চলেছে। তাই তিনি এই খাতকে একটি সম্ভাবনাময় খাত মনে করে সামনের দিকে এগিয়ে যান এবং সিদ্ধান্ত নেন ট্রাভেল বুকিং এজেন্সি খোলার।

ইভেনচার থেকে প্রায় ২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার নিয়ে সহ-প্রতিষ্ঠাতা কিউর জোশী, রাজেশ মাগো এবং শচীন ভাটিয়াকে সহ ২০০০ সালে মেকমাইট্রিপ ডটকমের যাত্রা শুরু করেন। এরপর আর তার টিমকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।

বর্তমানে মেকমাইট্রিপ ডটকম ১০ হাজার কোটি রুপি নিয়ে ভারতের সবচেয়ে বড় ভ্রমণ ট্রাভেল এজেন্সিতে পরিণত হয়েছে।

মো:হৃদয় সম্রাট

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here