বিশ্বব্যাপী প্রতিদিন গড়ে ৬০,০০০ পাঠক পঠিত পামেলা স্লিমের বিশেষ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ব্লগ থেকে পাওয়া গেল সাবেক আমেরিকান ফুটবলারের একটি উক্তি। যেই উক্তিটি চোখে পড়া মাত্রই আপনি নিজেও খুঁজতে থাকবেন আপনার মনের মত গড়তে চাওয়া এই পৃথিবীতে আপনার অবদান কি? আর যেই মুহুর্তে আপনার মাঝে প্রশ্নগুলো ঘুরতে থাকবে তখনই আপনার চলমান কর্মজীবনের ধারা পাল্টে যাবে। আপনি এতোদিন যা কেবল নিজের জন্য করেছেন তার ব্যাপ্তি ছড়িয়ে যাবে বৃহৎ আঙ্গিকে হয়তো একজন উদ্যোক্তা হয়ে উঠার মাধ্যমে। সহযোগিতা ও বলিষ্ঠতায় ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ব্যবসাকে সকল সমাজে পৃথিবীব্যাপী সম্প্রসারিত করার ব্রতকে সামনে রেখে নিয়মিত কাজ করছে পামেলা স্লিম। প্রতিদিন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা জনগোষ্ঠীকে ক্ষুদ্র ব্যবসা উদ্যোগ গ্রহন করতে যে সহযোগিতা তিনি মানসিকভাবে দিয়ে চলেছেন তা বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত।

একজন বিশ্ববিখ্যাত উদ্যোক্তা, বক্তা, লেখক, শিক্ষক, ব্যবসা প্রশিক্ষক এবং দক্ষ ব্যবসায়ী হিসেবে সমাদৃত পামেলা স্লিম। যিনি প্রতিটি ক্ষুদ্র উদ্যোক্তার উদ্যোগকে দেখতে পান ভবিষ্যতের শক্তি হিসেবে। যিনি ক্ষুদ্র ব্যবসা উদ্যোগকে সংজ্ঞায়িত করেছেন “লাইফ ব্লাড অব ইকোনোমি” হিসেবে। একটি স্পন্দনশীল, সক্রিয় ক্ষুদ্র ব্যবসা ও উদ্যোগ মানেই সমৃদ্ধির সমাজ। স্থানীয়ভাবে গড়ে উঠা সেরা ক্ষুদ্র উদ্যোগগুলো হতে পারে জাতীয় ও বৈশ্বিক সফলতার সোপান।

সম্প্রতি একটি কনফারেন্সে তাকে দর্শক সারি থেকে প্রশ্ন ছোড়া হয়, “উদ্যোগ গ্রহনের তারুণ্যই কি সঠিক সময় কিনা? অন্যরা কিভাবে উদ্যোগ নেবে?” উত্তরে পামেলা স্লিম তরুণদের উদ্যোগকে অভিবাদন জানান এবং একই সাথে বলেন, ”৪০ থেকে ৫০ বছর বয়সীদের মাঝে শক্তিশালী অনুনাদ আছে। তারা যেখানে অবস্থান করেন সেখানে যেকোনো কর্পোরেট চ্যালেঞ্জ এবং একটি নতুন চ্যালেঞ্জ পরিবর্তন ট্রানজিট সমস্যা মোকাবেলা করতে পারেন। এই সক্ষমতা অর্জন একটি সাধনা বটে”!

পামেলা স্লিম তার লিখা “Escape from Cubicle Nation” বইটির মাধ্যমেই সকলের নজরে আসেন। ২০০৯ সালে প্রকাশিত বইটির উপজীব্য ছিল ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ও উদ্যোগ। এটি সেই বছর “বেস্ট স্মল অন্টারপ্রেনিওর বুক” হিসেবে সম্মান পায়। এর পরপর প্রকাশিত “Body of Work” বইটিও ছিল সমান জনপ্রিয়।
ক্যালিফোর্নিয়ায় জন্ম নেয়া পামেলা তার পেশাদারি কর্মজীবনের সূচনায় প্রথম এক যুগ কাজ করেন একজন প্রশিক্ষক হিসেবে। বারক্লেইস গ্লোবাল ইনভেস্টরস এর ট্রেইনিং এন্ড ডেভেলপমেন্ট সেক্টরের কনসালটেন্ট এবং সাবেক কর্পোরেট ডিরেক্টর হিসেবেও ছিলেন দীর্ঘদিন। এইচ পি, চার্লস স্কোয়াব, থ্রি কম, শেভরন, কিস্কো সিস্টেমের মত বড় বড় কোম্পানীগুলোর সাথে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ এবং কর্মশালায় কাজ করেছেন সেই সময়৷

২০০৫ সালের পর থেকে ব্যক্তিগত উদ্যোগে হাজার হাজার উদ্যোক্তাকে প্রশিক্ষন দেন কেবল ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা হয়ে উঠার আদ্যোপান্ত নিয়ে। সম্প্রতি মেসার এরিজোনাতে ২০১৬ সালে গড়ে উঠে মেইন স্ট্রীট লার্নিং ল্যাব। যা তৃণমূল কমিউনিটি বেজড একটি থিংক ট্যাংক (Think Tank) হিসেবে পরিচিত এবং এটি ভূমিকা রাখছে বৈশ্বিক অর্থনীতির ত্বোরণ হিসেবে। ক্রমেই ছড়িয়ে যাচ্ছে পামেলা স্লিমের ভিন্নধর্মী উদ্যোগ৷ সেই সাথে তিনি গড়ছেন হাজার হাজার উদ্যোক্তা এবং নিজের উদ্যোগে পাল্টে দিয়েছেন তার সতীর্থদের জীবন ধারা।
ছবি ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত।
সাদিয়া সূচনা