একজন তরুণ উদ্যোক্তা, পাবলিক স্পিকার, পেশাদার ক্যারিয়ার কাউন্সিলর ও ট্রেইনার বিপ্লব কান্তি দাস। জন্ম সিলেটের সুনামগঞ্জে। ছোটবেলায় বাবাকে হারিয়েছেন, তারপর থেকে বলতে গেলে তার জীবনের পুরোটা জুড়েই তার মা।
স্কুল জীবনে বিপ্লব কান্তি দাস তার বড় খালা এবং অভিভাবক ইউ এম হাবিবুন্নেসার হাত ধরে শিশু ভলেন্টিয়ার হিসেবে কাজ শুরু করেন “ সেভ দ্যা চিলড্রেন” এ। সেই থেকে তার সামাজিক ও শিশু বিষয়ক কাজের যাত্রা শুরু।
২০০১ সাল থেকে ২০১০ পর্যন্ত মা’কে সবসময় ব্যবসায় সাহায্য করেছেন, দেখেছেন কিভাবে ছোট একটি জায়গা থেকে শুরু করতে হয়।
এরপর বন্ধুর মাধ্যমে থিয়েটার শুরু করেন “ থিয়েটার সেন্টারে”। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন সময় থেকেই কিছু করবার উদ্দেশ্যে তিনি উপস্থাপনা, প্রেজেন্টেশন শিখতে শুরু করেন। কয়েকজন বন্ধুর সাথে প্রথমে শুরু করেন একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ফার্ম যা বেশিদিন টিকিয়ে রাখতে পারেননি। এরপর অন্য বন্ধুদের সাথে জন্য মুদীর দোকান খুলেন কিন্তু তাতেও ব্যর্থ হন। শুরু করলেন বি আর ট্রেনিং ইন্সটিটিউট, ২০১২ সালে ট্রেনিং ইন্সটিটিউটটিও বন্ধ করে দিতে হয়। এরমাঝে তিনি চাকরি নেন একটি বেসরকারি কল সেন্টারে।
২০১৭ সাল, শুরু করলেন আইডল ফোকাসের যাত্রা। কয়েকজন ভলেন্টিয়ার নিয়ে অফিসের কার্যক্রম শুরু করেন, কিন্তু ভলেন্টিয়াররা কেউ সেই সাপোর্ট দেয় নি। চলে যায় প্রায় ৫ মাস, আবারও হতাশা হয়ে পরেন তিনি।
বিপ্লব কান্তি দাস বলেন, “যদি স্বপ্ন দেখে বসেই থাকি তাহলে স্বপ্ন কেনইবা দেখবো? আত্মবিশ্বাসী থেকে শুধু এগিয়ে যাব; পেছনে অনেকে টেনে ধরবে, কিন্তু যে টানবে তাকেও সাথে নিয়ে এগিয়ে যাব”।
বর্তমানে ২ জন অফিস সহকারী, ১০ জন ভলেন্টিয়ার এবং ১০ জন ক্যাম্পাস আইডল তার অধীনে রয়েছে। এখন পর্যন্ত মোট ৪টি বড় ক্যারিয়ার ইভেন্টের আয়োজন করেছেন।
বিপ্লব কান্তি দাস তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে জানান, সামনে তিনি কনসার্ট ফর পজিটিভিটি, লেটস শেয়ার দ্যা স্টেজ উইথ মাদারস, মিট দ্যা ইয়ুথ ও মুভ ফর পজিটিভিটি নিয়ে কাজ করবেন।
জেবুননেসা প্রীতি
এসএমই করেস্পন্ডেন্ট ,উদ্যোক্তা বার্তা