জাতীয় যুব দিবস-২০১৯

দেশে বেকারমুক্ত ও ডিজিটাল গ্রাম গড়ে তোলা হবে জানিয়ে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেছেন, বেকারমুক্ত গ্রাম সৃজন প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। গ্রামে মিনি থিয়েটার, আই সি টি ল্যাব, যুব তথ্য কেন্দ্রসহ বিভিন্ন আধুনিক সুবিধা থাকবে।

শনিবার রাতে জাতীয় যুব দিবস-২০১৯ উদযাপন উপলক্ষে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের আয়োজনে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে সাত দিনব্যাপী যুবমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

‘দক্ষ যুব গড়ছে দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ এই স্লোগানকে ধারণ করে দেশব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে পালিত হচ্ছে জাতীয় যুব দিবস-২০১৯।

যুবমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ যুব সমাজ। আমরা বর্তমানে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড এর সুবিধা ভোগ করছি। অর্থাৎ আমাদের মোট জনসংখ্যার মধ্যে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বেশি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত রুপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়নের জন্য দেশের চলমান ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডকে কাজে লাগানোর বিকল্প নেই। বাংলাদেশের এ জনমিতিক সুবিধা শুরু হয়েছে ২০১২সালে, যা চলমান থাকবে ২০৪০ সাল পর্যন্ত।

এ সময়কালে দেশের শ্রমবাজারে মোট জনসংখ্যার ৫০-৬০% কর্মোপযোগী যুবক ও যুবনারীর প্রবেশ ঘটবে। জনসংখ্যার এই বৃহৎ অংশের কল্যাণে বাস্তবমুখী কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের অঙ্গীকার রয়েছে । তাই যুব সমাজের সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিতকল্পে বেকার যুবদের উদ্বুদ্ধকরণ, প্রশিক্ষণ প্রদান ও প্রশিক্ষণোত্তর আত্মকর্মসংস্থান প্রকল্প গ্রহণের মাধ্যমে স্বাবলম্বী করে তোলা, যুব ঋণ প্রদান ও দারিদ্র্য বিমোচনে নিরলস কাজ করছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়াধীন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর।

যুবসমাজের উন্নয়নে তার মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কর্মসূচির বর্ণনা দিয়ে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন: যুব প্রশিক্ষনকে জনগনের দৌড়গোড়ায় পৌঁছে দিতে আমরা দেশের প্রতিটি উপজেলা অর্থাৎ ৪৯২ টি যুব প্রশিক্ষণ ও বিনোদন কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছি। অচিরেই এ প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। এ কেন্দ্র সমূহে শুধু প্রশিক্ষণ সুবিধা নয়, মিনি থিয়েটার, আই সি টি ল্যাব, যুব তথ্য কেন্দ্রসহ বিভিন্ন আধুনিক সুবিধা থাকবে। এছাড়া ও বেকারমুক্ত গ্রাম সৃজন প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে ৪৯২ টি গ্রামকে এ প্রকল্পের আওতায় আনা হবে। এছাড়া যুবকদের আবাসিক সমস্যা সমাধানে যুব হোস্টেল নির্মাণ করা হবে।

এসডিজি অর্জনে বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেন: ২০৩০ সালের মধ্যে বর্তমানে বিদ্যমান বেকারত্বের হার ২৮% থেকে কমিয়ে ৩% নামিয়ে আনা হবে। আত্মকর্মসংস্থানে ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া সচিব আখতার হোসেন, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অতিরিক্ত সচিব ফারুক আহমেদ এবং অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

যুব মেলাতে দেশের ১৬ টি জেলার ১০৩ টি স্টল অংশগ্রহণ করেছে। যেখানে যু্ব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণের মাধ্যমে সফল আত্মকর্মীদের বিভিন্ন উদ্ভাবন ও পণ্য প্রদর্শন করা হচ্ছে।

ডেস্ক রিপোর্ট,  উদ্যোক্তা বার্তা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here