একজন উদ্যোক্তা বদলে ফেলতে পারে তার জীবন মান। সাথে পরিবর্তন করতে পারে তার আশেপাশের মানুষদের জীবন মানকেও। এমনই একজন অদম্য উদ্যোক্তা হলেন জুয়েল আকন্দ।
নামাজে কিংবা প্রার্থনায় মুসলিমরা ব্যবহার করেন টুপি। সেই টুপি উৎপাদন করেন উদ্যোক্তা তার অদম্য প্রাণ শক্তি দিয়ে। জুয়েল জালী টুপি ডিপোতে প্রতি মাসে প্রায় দেড় লাখ টুপি উৎপাদন হচ্ছে। উদ্যোক্তার এই পথচলার গল্পের শুরুটাও ভিন্ন ভাবে।
ছোটবেলায় একদিন উদ্যোক্তা জুয়েল দাদার হাত ধরে যান বগুড়া বড় মসজিদে নামাজ পড়তে। যাবার সময় হাতে করে মায়ের কুশি-কাটায় তৈরি করা কয়েকটা টুপি নিয়ে যান। স্থানীয় ক্রেতা-বিক্রেতাদের নজরে আসে সেই টুপিগুলো। তারা এমন টুপি বানানোর জন্য অনুপ্রেরণা জানান। তারপরে স্বপ্নের শুরু। আশেপাশের কয়েক বাড়িতে শিখিয়ে দিলেন টুপি তৈরির পদ্ধতি। ধীরে ধীরে শুরু হলো এক কর্মভূবনের।
১৯৯৫ সালে উদ্যোক্তা বাণিজ্যিকভাবে যাত্রা শুরু করেন। ধীরে ধীরে প্রায় ১৩টি উপজেলায় নারীরা ঘরে ঘরে কুশি-কাটা ব্যবহার করে টুপি তৈরি করা শুরু করলেন। বর্তমানে তার এই উদ্যোগে মহিলা কর্মী সংখ্যা প্রায় ৩০ হাজার। সারা বছর ব্যাপী প্রায় ১৫০জন সহযোদ্ধা টুপি শিল্পীদের কাছে থেকে টুপি সংগ্রহ করেন। তারপরে পর্যায়ক্রমে টুপিগুলো ওয়াশ এবং রপ্তানির কাজ করেন উদ্যোক্তা তার কারখানায়।
বর্তমানে বিশ্বের অসংখ্য মুসলিম দেশে পৌঁছে যায় তার তৈরি জালী টুপি। তার তিনটি কারখানায় সারা বছর তৈরি হয় এসব টুপি। বিদেশীরা ব্যবহার করেন এসব টুপি যাতে লেখা থাকে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’।
মশিউর শাফী,
উদ্যোক্তা বার্তা