পাটের পণ্য দিয়ে ঘরকে এমন ভাবে সাজানো যায় না দেখলে বিশ্বাস হয় না। ক্রেতা দর্শনার্থীরা এ কারণে পাটের আসবাব দেখে মুগ্ধ হলেন। বললেন, পাঠ দিয়ে এতো কিছু তৈরি হয়!

মেলায় ঘুরে দেখা যায়, পাট দিয়ে তৈরি হয়েছে টি-টেবিল, শাড়ি, পাঞ্জাবি, বেডশিট, জানালা-দরজার পর্দা এমনকি দাবা খেলার গুটি ও কোর্ট।

নিজ চোখে না দেখলে বিশ্বাসই হবে না, পাট দিয়ে এতো সুন্দর করে ঘর সাজানো যায়। বহুমুখী পাটপণ্য একক মেলায় চোখে পড়ছে ঘর সাজাবার পাটের বহুমুখি ব্যবহার।

মেলায় প্রবেশ করলেই দেখা যাবে রকমারি পাটপণ্য দিয়ে মনোরমভাবে সাজানো বিভিন্ন জিনিস পত্র সেখানে রয়েছে পাটের টপ নান্দনিক এ গ্যালারিতে সামনে টি-টেবিলে সাজানো পাটের তৈরি নানা রকম খেলনা। রয়েছে পাটে ঘেরা ঝাড়বাতি। ঘর আলোকিত করেছে পাটের ল্যাম্পশেডও। টেবিলের পাশে ঝুলছে পাটের শিকা। এমনকি জানালা-দরজার সুন্দর পর্দাও রয়েছে।

বাম পাশে গেলে দেখা যাবে পাটের দিয়ে বাধাঁনো বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার মায়াবাধাঁনো ছবি, বেড সিট, ল্যাম্পের আলো, পাটের গাউন, কাচেঁর বোতলে পাটের কাজ করা এবং ডান পাশ রয়েছে, পাটের তৈরি হাত পাখা, জুটের বাঁধা আয়না পাটের ব্যাগ, পাটের গহনা।নারী উদ্যোক্তারা হরেক রকমে পণ্য দিয়ে স্টল সাজিয়েছেন।

মেলার প্রধান ফটক পার হয়ে সোনালি আঁশের পাদুকার স্টল, বেডশিট, কুশন, মেঝেতে শতরঞ্জি, পাটের পণ্যে কতোটা মনোরম পাটের পণ্য সেটা সেটাই না দেখলে বোঝানো যাবে না। মেলায় আরও চোখে পড়ে রকমারি জুতা, শাড়ি, জিন্স প্যান্ট, শার্ট। শোভা পাচ্ছে পাটের ওয়াল হ্যাংগিং। পাট দিয়ে কত বাহারি পণ্য তৈরি হয়, তা দেখে মুগ্ধ দর্শনার্থীরাও।

মেলায় ঘুরে আরো জানা যায়, হাজারো নারীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে পাট উদ্যোক্তারা বলেন,আমাদের লাভ কতো টাকা হলো এটা দেখার বিষয় নয়। শতাধিক থেকে হাজারও নারীকে কর্মসংস্থান দেয়া আমার প্রধান লক্ষ্য।

সোনালী আঁশে মিশে থাকা উদ্যোক্তার স্বপ্ন-কর্মেই নিজের শক্তি দেখিয়েছেন বাংলার নারী উদ্যোক্তারা কিভাবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে হয়।

 

 

কোরবান আষাঢ়

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here