হাইজিন ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে ৫১তম কোর্স শেষে শনিবার ফুড হাইজিন কার্নিভাল আয়োজন করে ন্যাশনাল হোটেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ট্রেনিং ইন্সটিটিউট (এনএইচটিটিআই)।
কার্নিভালে অংশগ্রহণকারীরা তাদের প্রজেক্ট প্রেজেন্টেশন এবং ফুড ডিসপ্লের মাধ্যমে হাইজিন ম্যানেজমেন্ট এর গুরুত্ব সবার সামনে তুলে ধরেন।
হোটেল ম্যানেজম্যান্ট অ্যান্ড ট্যুরিজমে দক্ষ জনশক্তি গঠনে কাজ করে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। সরকারি এই প্রতিষ্ঠান বিশ্বমানের প্রশিক্ষণ প্রদানসহ ছাত্রছাত্রীদের কর্মসংস্হানেও কাজ করে যাচ্ছে।
ফুড হাইজিন কার্নিভাল সম্পর্কে এনএইচটিটিআই ফুড অ্যান্ড বেভারেজ প্রধান জাহিদা বেগম বলেন, “নিরাপদ খাদ্য এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের দেশের অনেক মানুষ শুধুমাত্র হাইজিন ম্যানেজমেন্ট সম্পর্কে না জেনেই নানা রোগে আক্রান্ত হন। তাই আমরা যদি এই কোর্সের মাধ্যমে এই সেক্টরে দক্ষ মানুষ গড়ে তুলতে পারি, তাহলে তারা হয়তো তার পরিবার অথবা কর্মক্ষেত্রে গিয়ে সেটা কাজে লাগাতে পারবেন। তাই প্রতিটি কোর্সের পরই আমরা চেষ্টা করি একটা কার্নিভাল করতে, যেখানে ছাত্রছাত্রীরা প্র্যাকটিকাল প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে সবাইকে দেখাতে পারেন হাইজিন কতোটা গুরুত্বপূর্ণ। খাবার সংরক্ষণ এবং খাবারের তাপমাত্রা এগুলো যে কতোখানি গুরুত্বপূর্ণ সেটা হয়তো আমরা জানি না। তাই যারা এখান থেকে শিখে যাচ্ছেন, তারা সবাইকে সচেতন করবেন এটাই আমাদের মূল লক্ষ্য।”
কার্নিভাল প্রসঙ্গে এনএইচটিটিআই প্রিন্সিপ্যাল শাকের হোসেন বলেন:
আমরা বরাবরই বিভিন্ন ধরনের কোর্সের আয়োজন করি– শর্ট কোর্স এবং লং কোর্স। এই কোর্সগুলোর উদ্দেশ্যই হলো দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে বেকার জনশক্তিকে কাজে লাগানো।
আমাদের দেশে তথা বিশ্বমানের কোর্সগুলো আমরা এনএইচটিটিআই তে করিয়ে থাকি। আমরা চাই হোটেল ম্যানেজম্যান্ট ও ট্যুরিজমে আমাদের জনশক্তিকে কাজে লাগাতে।আমাদের দেশের ট্যুরিজম দিন দিন উন্নত হচ্ছে। তাই এই সেক্টরে অনেক বেশি দক্ষ লোকবল আসলে আমরাই উপকৃত হবো।
উৎসবে অংশ নেওয়া স্যান্ডি উদ্যোক্তা বার্তাকে বলেন, “আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নৃবিজ্ঞানে পড়াশোনা করছি। সেই সাথে আমি কালিনারি ফুড এর কোর্সটা করছি। আমি হাইজিন ম্যানেজম্যান্ট কোর্সটা করে অনেককিছু শিখেছি। আমার মনে হয় কুকিংটা এখন অনেকেই পেশা হিসেবে নিতে চাচ্ছেন। তাদের জন্য এই কোর্সটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যেকোন পেশাতে যদি জেনে বুঝে যাওয়া হয়, সেটাতে আরও ভালো করা যায়। আমি আশা করছি আমরা কোর্সে যারাই ছিলাম অনেক কিছু শিখেছি। আমরা পরিবারে এবং কর্মক্ষেত্রে এই শিক্ষাকে কাজে লাগাবো।”
ছাত্রছাত্রীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং কেক কাটার মধ্য দিয়ে কার্নিভাল আয়োজনের সমাপ্তি টানেন।
মাসুমা শারমিন সুমি
উদ্যোক্তা বার্তা