রাজধানীর ধানমন্ডিতে মাইডাস সেন্টারটি ১২ তলার দু’পাশে সেজেছে উৎসবের সাজে। বাহারি শাড়ি, পোশাক, জুয়েলারি, জুতাসহ সবকিছু পাওয়া যাচ্ছে এক ছাদের নিচে।
তিনদিনব্যাপি ফাল্গুনী এবং ভ্যালেন্টাইন উৎসবে ১২ থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি মেলার আয়োজন করে এক্সোটিক ইভেন্টস। বিক্রিও হয়েছে ভালো। বিশেষ করে প্রতিদিনই বিকেল থেকে ৮০টি স্টলে ক্রেতার পদচারণায় ছিল মুখরিত।
মেলার আয়োজক এক্সোটিক ইভেন্টস এর জিসান আহমেদ বলেন, ধানমণ্ডি এলাকায় বহু বছর ধরে বিভিন্ন মেলা করা হচ্ছে। ফলে আমাদের নিজস্ব ক্রেতা ও বিক্রেতার একটি বড় চেইন তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের জন্য এরকম মেলা, এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যা উদ্যোক্তাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করি। আশা করি, এই মেলার মাধ্যমে অনলাইন থেকে অফলাইনে বেরিয়ে আসা উদ্যোক্তারা উপকৃত হবেন।
মেলায় অংশ নেওয়া ইন্টারনাল সিরামিকসের স্বত্ত্বাধিকারী তাসলিমা জান্নাত কথক বলেন, ‘ইন্টারনাল সিরামিকস মূলত কাজ করে টেবিলওয়্যার নিয়ে। এছাড়াও আমরা রংবেরঙের সিরামিকস পণ্য নিয়ে কাজ করি। আমাদের টি সেট শুরু করে ডিনার সেট রয়েছে। এসব পণ্য নিয়ে মেলায় আমরা ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। এখানকার পরিবেশ আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে।’
অরিজিনাল মুক্তা গহনার উদ্যোক্তা তানিয়া সুলতানা বলেন: আমি অথেন্টিক মুক্তার জুয়েলারি নিয়ে কাজ করি। মেলায় এবার ক্রেতা অনেক বেশি। ফাল্গুন ও ভ্যালেন্টাইন্স উৎসব থাকার কারণে প্রচুর ক্রেতা এসেছেন।
মেলায় অংশগ্রহণকারী আরেক প্রতিষ্ঠান পরিণীতার স্বত্ত্বাধিকারী শিপ্রা বিশ্বাস বলেন, ‘মেলায় আমরা নতুন কালেকশন নিয়ে এসেছি। আমার হ্যান্ড পেইন্ট এর ডিজাইন করা শাড়ির মূল্য দুই হাজার টাকা। এছাড়াও এ মেলায় দেশীয় কাপড়ের সমারোহ থাকছে। ক্রেতাদের জন্য ডিসকাউন্টের বিশেষ ব্যবস্থাও ছিল।’
দেশীয় পণ্যের পাশাপাশি মেলায় ছিল বিভিন্ন স্বাদের পিঠা, চটপটি ফুচকা, ফাস্টফুড, চাইনিজ খাবার, হালিম থেকে শুরু করে আরো সুস্বাদু খাবার। এছাড়াও ছিল অথেনটিক হারবাল পণ্য, হোম ডেকর পণ্য পাশাপাশি সব ধরনের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য।
মেহনাজ খান
উদ্যোক্তা বার্তা