উদ্যোক্তা শারমিন ইম্মী অনার্স ফাইনাল ইয়ারে পড়ছেন। ছোট্টবেলা থেকে ই প্রচন্ড রকম দুরন্ত ছিলেন। মফস্বল এলাকার এক মধ্যবিত্ত পরিবারে বড় হয়েছেন। সবসময়ই মনে হতো এমন কিছু করবেন যেখানে তিনি তার জীবনটা স্বাধীন ভাবে যাপন করতে পারবেন।
উদ্যোগ টা তার অনেক আগেই শুরু করার প্ল্যান ছিলো,কিন্তু এক দূর্ঘটনয় তা হয়ে ওঠেনি তাই তিনি মনে করেন কিছু টা দেরিই হয়েছে।
২০২১ এ যাত্রা শুর মনোহরির ,যদিও এটা উদ্যোক্তার সেকেন্ড বিজনেস।
তিনি বিগত চার বছর ধরে রংপুর এর বিখ্যাত আম “হাড়ি ভাঙা ” আম নিয়ে কাজ করছেন।
উদ্যোগের পেছনের গল্প বলতে তিনি জানান ছোট্ট করে বলতে গেলে ” সাবলম্বী হওয়া। আর আমি নিজে আসলে ঘুরতে প্রচন্ড রকম ভালোবাসি।তো সবসময় ই এই চিন্তা থাকে, নিজের আর্নিং মানি দিয়ে পুরো বিশ্ব একদিন দেখব।”
উদ্যোক্তা রংপুরের বিখ্যাত বাংলাদেশের নবম জি আই পণ্য শতরঞ্জি, টেবিল রানার, জুট রাগস বেসিকলি ডেকোরেশন সাথে সিলেটের ঐতিহ্যবাহী মণিপুরী নিয়ে কাজ করছেন।তিনি সবসময়ই একটু এক্সক্লুসিভ জিনিস নিয়ে কাজ করতে আনন্দ পান।
মনোহরি তেও তাই।তার বেশির ভাগ কালেকশনস ই এক্সক্লুসিভ।
বিদেশে তার পণ্য গিয়েছে।তার পণ্য দেশের বাইরে প্রচুর পরিমাণে সাপ্লাই হয়।দেশীয় জিনিস সবাই পছন্দ করে।দেখা যায় যাওয়ার সময় নিয়ে যাওয়া হোক কিংবা বিদেশে বসে অনলাইনে অর্ডার সবই হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
উদ্যোগে বাধা আসতে থাকে সবসময়।অনলাইন ই যেহেতু তার মূল টার্গেট তাই অনেক সময় ও শ্রম দিতে হয় অনেক বেশি।
এই প্রতিযোগিতায় টিকতে অনেক কষ্ট করে যাচ্ছেন এই উদ্যোক্তা।
পুরো বাংলাদেশেই উদ্যোক্তার পণ্য প্লাই করেন।প্রচুর চাহিদা, আর বেশির ভাগ সময়ই ফিডব্যাক ভালোই পান তিনি।গতানুগতিক ধারা একটু বাইরেই তার কাজ করতে ভালো লাগে।যখন ভালো রিভিউ পান তখন খুবই ভালো লাগে এই উদ্যোক্তার।
অনুপ্রেরণার কথা বলতে তিনি জানান “সবথেকে বেশি ভূমিকা, অনুপ্রেরণা যেটাই বলুন আমার হাসবেন্ড প্রচুর পরিমাণে সাপোর্ট করেছে,এখনো করে।সবসময় একা তাল মিলিয়ে চলতে পারিনা।যখনই পিছিয়ে পরি আমার সাহায্যের হাত টা অনেকটা যেনো আমার দিকে বাড়িয়েই আছে।এদিক থেকে ভাগ্যবতী বলা যায়।আমার কিছু ক্লোজ ফ্রেন্ড আছে ওদের কথাও না বললেই না।শুরুটা সহজ ছিলো না এবং এখনো সহজ না।”
ভবিষ্যতের পরিকল্পনায় তিনি জানান অন্তত ৯০% মানুষকে সেরার থেকেও সেরা কিছু দিতে চান তিনি।দেশীয় জিনিস সুন্দর ভাবে দেশ এবং দেশের বাইরে প্রেজেন্ট করতে চান।
তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য তার পরামর্শ আমাদের দেশের জেলাভিত্তিক যে পণ্য রয়েছে সেগুলো নিয়ে কাজ করা উচিত। বাংলাদেশের সব জেলায় কোন না কোন স্পেশাল পণ্য আছে সেটা নিয়ে কাজ করলে তরুন সমাজ বেকারত্ব থেকে মুক্তি পাবে।
মাসুমা শারমিন সুমি,উদ্যোক্তাবার্তা