প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হলো ‘ঢাকা ক্যাটেল এক্সপো’।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় প্রস্তাবিত বাংলাদেশ ক্যাটেল ফার্মাস এসোসিয়েশন আয়োজিত প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। সেসময় তিনি বলেন, ‘দেশীয় উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে এখন আর গরুর জন্য ভারত নির্ভর নয় বাংলাদেশ। আমরা ক্যাটেলে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি।’
শুক্রবার আগারগাঁও এর পুরাতন বাণিজ্যমেলার মাঠে শুরু হয় দুদিনব্যাপি ‘ঢাকা ক্যাটেল এক্সপো ২০২৩’। এতে প্রাকৃতিক উপাদানে পালিত ১৫০ জন কৃষি উদ্যোক্তা প্রায় ৪০০ পশু নিয়ে হাজির হয়েছিলেন।
ক্যাটেল এক্সপো উদ্বোধনে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ হাসান রাসেল চাকরিদাতা হতে যুবকদের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘আমরা কেন চাকরির পেছনে ছুটবো! আমরা এমন কিছু কাজ করবো যে কাজ করে আমরা নিজেরা নিজের বস হবো। আমরা অন্যদেরকে চাকরি দেব।’
সরেজমিনে দেখা যায়, এক্সপোর পুরো মাঠ জুড়ে সারি সারি স্টল। এসব স্টলের শোভা পাচ্ছে নানা জাতের, নানা বর্ণের, আর নানা আকৃতির বিশাল বিশাল গরু। এসব গরুর নামও বেশ চমৎকার। কোন স্টলে রয়েছে ব্রাহমা, কোনটিতে শাহীওয়াল, কোনটিতে প্রদর্শিত হচ্ছে রেড সিন্ধি, আবার কোনটিতে হোলস্টাইন ক্রস। ছিল দেশি-বিদেশি নানা জাতের গরু। প্রতিটি স্টলের গরুগুলোকে সাজানো হয় বাহারিভাবে। গরুর পাশাপাশি নানা জাতের মহিষও প্রদর্শনের জন্য মেলায় এনেছিলেন উদ্যোক্তারা।এছাড়াও ছিল দুম্বা ও ছাগল। লামাসহ নানা প্রজাতির পাখিও ছিল সেখানে। ফলে এক্সপোতে আসা দর্শনার্থীরা বেশ আগ্রহ নিয়ে স্টলগুলো ঘুরে ঘুরে দেখেছেন।
নিজেদের পশু প্রদর্শনের পাশাপাশি অভিজ্ঞতা বিনিময়ের একটি প্লাটফর্ম পেয়ে খুশি কৃষি উদ্যোক্তারা। উসামা এগ্রো’র উদ্যোক্তা মোঃ তাইয়েব বলেন, এখানে এসে অনেক ভালো রেসপন্স পাচ্ছি। আমি মনে করি এই ধরনের মেলা আরো হওয়া উচিৎ। এতে করে মানুষের মধ্যে গরু পালনের আগ্রহ আরো বেড়ে যাবে এবং কাস্টমারও ভালো পাওয়া যাবে।
মেলায় অধিক মাংস উৎপাদনের জন্য বিজ্ঞানসম্মত পশুপালন সম্পর্কিত কর্মশালা, ভেটেরিনারি প্রশিক্ষণ ছাড়াও ছিল ভিন্নধর্মী আকর্ষন ‘গরুর র্যাম্প শো’।
সেমিনার এবং মিউজিক কনসার্টের মাধ্যমে শনিবার ঢাকা ক্যাটেল এক্সপোর সমাপ্তি হয়।
ক্যাটেল এক্সপো ভবিষ্যতে আরো বড় পরিসরে করার আশা আয়োজকদের।
সেতু ইসরাত,
উদ্যোক্তাবার্তা