শতভাগ রপ্তানিমুখী গার্মেন্টস ও টেক্সটাইল শিল্পকে প্রণোদনা দেওয়ার লক্ষ্যে ২০২০–২১ অর্থবছরে প্রস্তাবিত বাজেটে কতিপয় পণ্য আমদানিতে রেয়াতি সুবিধার প্রস্তাব করা হয়েছে।

‘অর্থনৈতিক উত্তরণ ও ভবিষ্যৎ পথ পরিক্রমা’ শিরোনামে করোনাভাইরাসের সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে টিকে থাকা ও অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের প্রত্যাশা সামনে রেখে আওয়ামী লীগের তৃতীয় মেয়াদের দ্বিতীয় বছরে ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট জাতীয় সংসদে বৃহস্পতিবার উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

বৃহস্পতিবার বিকেল সোয়া ৩টার দিকে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত সংসদ অধিবেশনে ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য এ বাজেট উপস্থাপন শুরু করেন অর্থমন্ত্রী।

আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) এর ফলে সৃষ্ট বৈশ্বিক মহামারিতে বিপর্যস্ত অর্থনীতিকে পুনর্গঠনের জন্য কর্মসংস্থান ও বিনিয়োগ সৃষ্টিতে শিল্পখাতের গুরুত্ব অপরিসীম। শিল্পখাতে বিনিযোগ বৃদ্ধি, যথাযথ প্রতিরক্ষণের মাধ্যমে বিদ্যমান শিল্পের বহুমুখী প্রসারের কৌশল অবলম্বনে শিল্পখাতের বিভিন্ন উপখাতের জন্য এ প্রস্তাব করছি।

প্রস্তাবিত বাজেটে তিনি বলেন, শতভাগ রপ্তানিমুখী গার্মেন্টস ও টেক্সটাইল শিল্পকে প্রণোদনা দেওয়ার লক্ষ্যে এ শিল্পকে সংশিষ্ট সংগঠনের ন্যায্য প্রস্তাবসমূহের আলোকে কমিপয় পণ্য (যেমন- আরএফআইডি ত্যাগ, ইন্ডাস্ট্রিয়াল র‌্যাকিং সিস্টেম, কাটিং টেবিল ইত্যাদি) আমদানিতে রেয়াতি সুবিধা দেওয়ার প্রস্তাব করছি।

এছাড়া বন্ড সুবিধায় যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতকরণে বিদ্যমান বন্ডেড ওয়্যারহাউজ লাইসেন্সিং বিধিমালা যৌক্তিকরণের প্রস্তাব করা হয়েছে।

এছাড়া রপ্তানি বহুমুখীকরণে সম্ভাবনাময় পাদুকা শিল্পের প্রসারের লক্ষ্যে উক্ত শিল্পের তিনটি কাঁচামাল আমদানিতে রেয়াতি সুবিধার প্রস্তাব করা হয়েছে। পাশাপাশি রেফ্রিজারেটর ও এয়ার কন্ডিশনারের কম্প্রেসার উৎপাদনকারী দেশীয় শিল্পের সুরক্ষায় উক্ত শিল্পের কাঁচামাল আমদানিতে বিদ্যমান রেয়াতি সুবিধা সম্প্রসারণের প্রস্তাব করা হয়েছে।

২০২০–২১ অর্থবছরে প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা।

ডেস্ক রিপোর্ট, উদ্যোক্তা বার্তা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here