এসএমই ফাউন্ডেশনের আয়োজনে পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ৭ দিন ব্যাপী আঞ্চলিক এসএমই পণ্য মেলা ২০২০ শুরু হয়েছে ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০, বুধবার। সকাল ১০ টায় প্রধান অতিথি কুজেন্দ্র ত্রিপুরা, এমপি ও বিশেষ অতিথি মোঃ আব্দুল আজিজ, পুলিশ সুপার, খাগড়াছড়ি উপস্থিত থেকে ফিতা কেটে বেলুন উড়িয়ে মেলার উদ্বোধন করেন। আরো উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলম, খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শানে আলম প্রমুখ।

সকাল ৯ টায় খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে শোভাযাত্রা বের হয়ে কোট রোড হয়ে মেলা প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়। প্রধান অতিথি কুজেন্দ্র ত্রিপুরা, এমপি ও বিশেষ অতিথি মোঃ আব্দুল আজিজ, পুলিশ সুপার, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা, ফিতা কেটে বেলুন উড়িয়ে মেলার উদ্বোধন করেন। আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক, এস এমই ফাউন্ডেশন, বিসিক, নাসিব, চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি, খাগড়াছড়ির স্থানীয় উদ্যোক্তারা এবং বিভিন্ন পেশাজীবী সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ।

রাজশাহী নকশীঘরে নকশি কাঁথা, কারপেট, সুজিনি, কদমফুল কাঁথা, বকুল ফুল কাঁথা, খেজুর পাতা কাঁথা, সুজিনি ভরাট, নকশি বেটশীট ইত্যাদি।

মোহাঃ মফিজুল ইসলাম বলেন, এই রকম মেলা বেশি বেশি হওয়া দরকার, তাহলে দেশীয় পণ্যের বিকাশ ঘটবে। রিহা টেক্সটাইল এন্ড বুটিক, বাঁশের পেন্সিল বক্স, জুয়েলারি বক্স, শীতের চাদর, পাহাড়ি পিনন ,শাড়ি,দি নেক্স, কাঠের হারিকেন, একতারা, ভাষার মাসের কলম দানি, কাগজের ফুল, বাংলাদেশের মানত্রি, ফুলের ওয়ালমার্ট, কাপড়ের আয়না, কাঠের নানা ধরনের খেলনা, নারিকেলের আইচা দিয়ে নৌকার প্রতিকৃতি, কাপড়ের ব্যাগ, খেলনা কুমির সহ বিভিন্ন পণ্য সাজিয়ে নিয়ে বসেছে।

ত্রিপুরা ট্রেডার্সে পাওয়া যাচ্ছে পাহাড়ী ত্রিপুরা পানির পাত্র, শুকই নামক ঐতিহ্যবাহী খেলা করছে। রূপার খোপার কাঁটা, পায়ের মল বা ত্রিপুরা ভাষায় ভেলকী। পাহাড়ি বাঁশের কাঁটা। পাহাড়ি বিভন্ন ধরনের পোশাক, হাতে বানানো চাদর সহ বিভিন্ন পণ্য।

২০১৮ সালে জাতীয় যুব পুরস্কারপ্রাপ্ত উদ্যোক্তা বিণা রাণী বলেন, পাহাড়ি নারীরা এখন এগিয়ে। অনেক সেক্টর নিয়ে কাজ করছে, আগে নারীরা ঘরে অনেক অবহেলিত ছিল, এখন উদ্যোগ গ্রহণ করে সফলার মাধ্যমে সচ্ছল হয়েছে।

খাগড়াছড়ি জেলা বাংলাদেশের দক্ষিণ- পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত চট্টগ্রাম বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। সবুজের শহর, পাহাড়ের শহর, উপজাতিদের শহর খাগড়াছড়ি, আদিবাসী উদ্যোক্তারা তাদের পাহাড়ি মনন দিয়ে তৈরী করেছেন নানা ধরনের পণ্য, যেহেতু খাগড়াছড়ি পর্যটন অঞ্চল পর্যটনটকদের কথা চিন্তা করে বাহারি ধরনের পণ্য তৈরী করে থাকে, শীতের সুতার চাদর, পাহাড়ি পোশাক, পাহাড়ের বেত দিয়ে শো-পিচ ইত্যাদি। পাহাড়ের মানুষের বুক ভরা সাহস আছে, তাদের কর্মক্ষমতা ও অনেক বেশি, তারা পরিশ্রম করতে জানে, কি ভাবে জয় করতে হয় পাহাড়ের মানুষেরা জানে, তারা বলেন, পাহাড় যেমন উঁচু উঁচু তাদের স্বপ্ন ও তেমন উঁচু।

মেলাটি চলবে ৩ মার্চ প্রতিদিন সকাল ১০ ঘটিকা হইতে রাত ১০ ঘটিকা পর্যন্ত। মেলাটি সবার জন্য উন্মুক্ত।

কোরবান আলী

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here