ভোরে উঠা সকালের সূর্য মানেই নতুন কর্মব্যস্ত দিনের শুরু। অফিশিয়াল কাজ, শো-রুম, ট্রেইনিং এবং পরিবারকে সামলে দূর্বার গতিতে কেটে যায় সময়। সফলতা আসে যেন আরো প্রত্যয় নিয়ে৷ আর সেই প্রত্যয়েই একের পর এক শো-রুম, কর্মী নিয়োগের সুযোগ বৃদ্ধি আর কর্মশালার মাধ্যমে গড়ে তোলা দক্ষ জনশক্তিই যেন ব্রত উদ্যোক্তা বানীর। বানী’স ক্রিয়েশনে বর্তমান কর্মীর সংখ্যা আজ ২৫ জন।
২০১৭ সালে খিলগাঁও তালতলা-তে প্রথম আউটলেট দিয়েছিলেন বানী। ২০১৮ সালে গ্রীন রোডে খোলেন দ্বিতীয় শাখা। এ পর্যন্ত কয়েক হাজার ডিজাইনের কেক ডেলিভারি দিয়েছেন বানী। আজ ক্লাইন্ট লিস্ট অগণিত। বানী’র কেক প্রথম আলো, ডেইলী স্টার, নিটল টাটা মোটরস, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কিংবা পুলিশ হেড কোয়ার্টারের বড় বড় সকল উৎসব সহ কর্পোরেট এবং সেলিব্রিটির প্রথম পছন্দে নাম করে নিয়েছে। তবে সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি এটিই যে, এখন তার কেকের নাম জানে পুরো শহরবাসী, সাধারণ বা মধ্যবিত্তের যেকোনো উৎসবের আয়োজনে তারা অনুসঙ্গ করেছে বানীর কেক।
জীবনে প্রথম মেয়ের জন্মদিনে কেক ডেকোরেশন করে বাহবা কুড়িয়েছিলেন বানী। এরপর নিজেকে বিভিন্ন ধাপে ধাপে গড়ে নিয়ে একের পর এক মারমেইড কিংবা জঙ্গলবুক মোগলী, বাদ যেনো থাকলো না কিছুই। যে মেয়ের জন্মদিনে একদিন কেক বানিয়েছিলেন সেই মেয়েই আজ মায়ের ব্যবসার সহযোগী। মায়ের উদ্যোগ দারুণ সামলে নিয়েছেন তিনিও।
তাহমিনা আহমেদ বানী এখন অপেক্ষায় নতুন নতুন শোরুম নিয়ে আরো বেশি সাধারণের কাছে পৌঁছে যাবার। গ্রীনরোড, পান্থপথ, মহাখালী, মিরপুরের পর, সর্বশেষ প্রস্তুতিতে আছে ধানমন্ডি শুক্রাবাদের আরো একটি শোরুম। থিম কেকের জগতে বা নিজের মতো প্রোডাকশনে আন্তর্জাতিক মান দিতে ব্যস্ত সময় দম ফেলার অবকাশ দেয় না, তবুও স্বপ্ন যেন আপন নিয়মে এগিয়ে নিচ্ছে উদ্যোগ, বাড়াচ্ছে কর্ম সম্ভাবনা, আনছে সাফল্য। পরিশ্রম, সাধনা আর নিপুণ পরিবেশনাই পরিপূর্ণতার সূত্র যেন এখানে।
সাদিয়া সূচনা
উদ্যোক্তা বার্তা