নওগাঁর মুশফেরা জাহান কাজ করেন হাতের কাজের থ্রি-পিস, শাড়ি, মসলিন শাড়ি, সিল্ক শাড়ি ও ব্লক প্রিন্ট শাড়ি ছাড়াও অনেক পণ্য নিয়ে। অনলাইনে এসব পণ্য বিক্রি করেই এখন মাসে বেশ ভালো আয় করেন তিনি।
তিন ভাই-বোনের ছোট মুশফেরা জাহান। বাবা-মা দুজনই ছিলেন স্কুল শিক্ষক। মুশফেরা জাহানের জন্ম নওগাঁ সদরে। বাবা-মা শিক্ষক থাকার সুবাদে গ্রামে থাকেন। মুশফেরা জাহানের বাবা শিক্ষকতার পাশাপাশি নিজের বাসার নিচতলায় কাপড়ের ব্যবসা করতেন এবং মা হাতের সেলাই সুনিপুণভাবে করতেন। সেখান থেকে আগ্রহ বাড়ে মুশফেরা জাহানের। এ সময় তিনি গ্রামের বাড়িতে ছিলেন এবং এসএসসি পাস করেন।
![](https://uddoktabarta.com/wp-content/uploads/2021/04/mushferaaa.jpg)
পরবর্তী সময়ে ঢাকায় এসে লালমাটিয়া মহিলা কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। এর পর ২০০০ সালে বিয়ে করেন। বিয়ের পর আবার পড়াশোনা শুরু করেন তিনি। স্বামীর চাকরির জন্য নওগাঁ অবস্থান করেন এবং বগুড়া সরকারি শাহ সুলতান কলেজ থেকে অনার্স শেষ করেন। মাস্টার্স করেন বগুড়া আজিজুল হক কলেজ থেকে। এরপরে তিনি অবসর সময় কাটান কিছু দিন।
![](https://uddoktabarta.com/wp-content/uploads/2021/04/mushfera2.jpg)
পরে হামদর্দ ইউনানী কলেজ থেকে ৪ বছরের কোর্স করেন, সেখান থেকে প্রথম হন। এটির পর BUMS করেন। এটা করে হামদর্দে চাকরি করেন। পরিবারকে সময় দিতে গিয়ে চাকরি থেকে সরে আসেন মুশফেরা জাহান। মায়ের থেকে শেখা সেই সেলাই মনে ধরে উদ্যোক্তা করতে শুরু করেন সেলাই। তিনি বলেন, সেলাই একটা নেশা। তাই ২০১৮ সালে শুরু করেন এবং পেজের নাম দেন ‘মম ফানুস’। টাঙ্গাইল শাড়িতে ব্লক এবং হ্যান্ডপ্রিন্টিং কাজ করেন শাড়ি, পাঞ্জাবি, ছোট বেবি কাপড় ছাড়াও বিভিন্ন রকমের পন্য তৈরি করেন। এ থেকেই শুরু হয় ১০ ধরনের পন্যের কাজ। এছাড়াও তিনি ‘গেরস্ত বাড়ি’ নামে বিভিন্ন মশলা নিয়ে একটি পেজে কাজ শুরু করেছেন।
![](https://uddoktabarta.com/wp-content/uploads/2021/04/mushfera1.jpg)
৫ জন কর্মী নিয়ে নিজ বাসায় কাজ করেন। তিনি বলেন, দেশের মধ্যে প্রতোকটি জেলায় পণ্য সরবরাহ করা হয়। প্রতিমাসে ৩০০ থেকে ৪০০ পিস কাপড় উৎপাদন করেন। মাসে ৫০-৫৫ হাজার টাকার পণ্য বিক্রি করেন।
তিনি আরো বলেন, চাকরি থেকে নিজে উদ্যোক্তা হলে নিজের স্বাধীনতা বজায় থাকে এবং নিজের সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটে।
শারমিন আক্তার
উদ্যোক্তা বার্তা ঢাকা