বৈশাখী মেলা যেন শেষ হতেই চায়না। বাঙ্গালীর সবচাইতে বড় সার্বজনীন সাংস্কৃতিক উৎসব পহেলা বৈশাখ। বাংলা নতুন বছরের প্রথম দিন বাংলা একাডেমীর প্রাঙ্গণে বিসিক ও বাংলা একাডেমীর যৌথ উদ্যোগে শুরু হয়েছিলো বৈশাখী মেলা যা চললো ১০ দিন। উদ্যোক্তাদের পণ্যের প্রসার, প্রচার, বিক্রয়, বাজার সম্প্রসারণ এবং পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়নের জন্যই এমন মেলার আয়োজন করা হয়ে থাকে।

মেলায় উদ্যোক্তাদের সাথে কথা বললে তারা ইউবি প্রেসকে জানান, জাঁকজমক ভাবে মেলা চলেছে ১০দিন, ক্রেতা সমাগম ছিলো সন্তুষজনক। কেনা-বেচা বেশ ভালো।

উদ্যোক্তা দিলারা আমজাদের সাথে কথা বলছিলাম আমরা। মিজ দিলারা বললনে, “প্রতিবার আমি মেলায় অংশগ্রহণ করি এবার মেলার সামনের রাস্তায় কাজ চলছে তা নাহলে আরও অনেক ক্রেতা আসতো, তবে যা হয়েছে অনেক ভালো হয়েছে এবং আমি আমার পণ্যের বিক্রিতে বেশ সন্তুষ্ট”।

মেলা উপলক্ষে প্রতিদিন সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন ছিলো বাংলা একাডেমী প্রাঙ্গণে। এতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী লোকসঙ্গীতসহ অন্যান্য গান পরিবেশিত হয়। শিশুদের জন্য ছিলো নাগরদোলা, বায়োস্কোপ, ছিলো সর্বপরি এক সাথে এতো উদ্যোক্তাদের পণ্য দেখতে পাওয়ার সুযোগ।

দেশের বিভিন্ন অঞ্চল হতে হস্ত, কারুশিল্পী ও উদ্যোক্তাদের উৎপাদিত পণ্য সামগ্রীর ২০০টি স্টল স্থান পায় মেলায়। ১০টি স্টলে কারুশিল্পীগণ তাদের বিভিন্ন পণ্য মেলার মাঠে তৈরি করে তা প্রদর্শন ও বিক্রি করেছেন যা মেলায় আগত দর্শনার্থীদের কাছে  এক ভিন্ন আবেদন তৈরি করে।

দেশের মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প উদ্যোক্তাদের এগিয়ে যাবার এক অনুপ্রেরণা, নতুন বছরে ব্যবসা বাড়তার এক অনন্য উদাহরণ এবারের বাংলা একাডেমী বিসিক বৈশাখী মেলা। দেশে উৎপাদিত পণ্য প্রদর্শন ও বিপণনের জন্য মেলার আয়োজন একটি কার্যকর উদ্যোগ। এর মাধ্যমে আমাদের ক্ষুদ্র, কুটির ও কারু শিল্প উদ্যোক্তাদের উৎপাদিত পণ্যের গুণগত মান উন্নয়নের পাশাপাশি পণ্যের বাজার সম্প্রসারিত হয় বলে বিশেষজ্ঞরা মত প্রকাশ করেন।

মেলা উদ্বোধন করেন মাননীয় শিল্পমন্ত্রী জনাব নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এমপি। শিল্প প্রতিমন্ত্রী জনাব কামাল আহমেদ মজুমদার এমপিসহ সরকারের এবং বাংলা একাডেমি ও বিসিকের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

 

 

বিপ্লব আহসান

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here