কারুশৈলী কুটির শিল্প নারী উন্নয়ন সংগঠনের মূল কাজই হলো নতুন নতুন উদ্যোক্তা তৈরি করা। সংগঠনটির সভানেত্রী ও শাওন ক্রাফটের স্বত্ত্বাধিকারী সফল নারী উদ্যোক্তা আনোয়ারা শিউলি বললেন, আমাদের কার্যক্রমগুলো নারীরা কাজ শিখে ঘরে সীমাবদ্ধ থাকার উদ্দেশ্যে নয় বরং তারা কাজ শিখে কিভাবে পণ্য তৈরী ও বাজারজাত করে আয় করবে তার উপর। সেলক্ষ্যে নতুন একজন উদ্যোক্তার করণীয় কৌশলগুলো শিখিয়ে দেওয়ায় আমাদের মূল লক্ষ্য।

শনিবার রাজধানীর মিরপুরে এক আলোচনা ও প্রশিক্ষনার্থীদের পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উদ্যোক্তা বার্তাকে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমি যখন ব্যবসায় পা রাখি তখন অনেক বাধার সম্মুখীন হয়েছি।অনেক ভুল করেছি আবার নতুন করে শুরু করেছি।তাই আমি চাই যারা কিছু করতে চায় একেবারে নতুন তাদের জন্য আমি কাজ করছি, ভবিষ্যতেও এভাবেই কাজ করে যাবো। আমি চাই আমার এই সংগঠন থেকে যারা প্রশিক্ষণ নিয়ে কিছু শুরু করছে তারা যেন একেকজন আমার থেকেও বড় উদ্যোক্তা হয়।

‘যারা কিছু করতে চায় কিন্তু নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে সঠিকভাবে কাজ শিখতে পারে না তাদের জন্য এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি কাজ করে যাচ্ছে।’
উদ্যোক্তা শিউলী বলেন, বাংলাদেশ মহিলা অধিদপ্তর থেকে ২০১৪ সালে রেজিষ্ট্রেশন করেন কারুশৈলী কুটির শিল্প নারী উন্নয়ন সংগঠন। কিন্তু অফিসিয়ালি কাজ শুরু করেন ২০১৭ সাল থেকে এবং এখন পর্যন্ত ৬০০ জন প্রশিক্ষণার্থীকে কে প্রশিক্ষন দিয়েছেন, প্রতি ব্যাচে ১০ জন করে প্রশিক্ষনার্থী অংশগ্রহণ করতে পারেন।

অনুষ্ঠানে শাহীন হেল্প লাইনের ফাউন্ডার ও সিইও আমিনুল ইসলাম নতুন উদ্যোক্তাদের ব্যবসার ট্রেড লাইসেন্স, টিন আইডি, ভ্যাট- ট্যাক্স সম্পর্কে অবগত করেন।
অনুষ্ঠানে সংগঠনের ২৫ জন প্রশিক্ষণার্থী উপস্থিত ছিলেন। প্রশিক্ষণ শেষে কাজের পরীক্ষামূলক ধাপে ১০ জন প্রশিক্ষনার্থীদের মাঝে কিছু কাজ দেওয়া হয় যার মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে ২ জনকে পুরষ্কৃত করা হয়।

অংশগ্রহণকারী প্রশিক্ষনার্থীরা বলেন, কারুশৈলী কুটির শিল্প নারী উন্নয়ন সংগঠন থেকে তারা খুব সহজেই কাজ গুলো শিখতে পারছেন।

ব্লক- বাটিক, স্কিন প্রিন্ট, অ্যাম্ব্রয়ডারি, সেলাই, কাটিং ইত্যাদির পাশাপাশি একজন সফল উদ্যোক্তা হতে যে অনুপ্রেরণার প্রয়োজন তা প্রতিনিয়ত পাচ্ছেন এই প্রশিক্ষণার্থীরা।
খুরশিদা পারভীন সুমী