নারীদের আশা জাগানিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘প্রতিবেশী কুটির শিল্প’

0

রাজধানীর মিরপুর ডিওএইচএস এ অনুষ্ঠিত হলো প্রতিবেশী কুটির শিল্পের আয়োজিত প্রতিবেশী সেরা উদ্যোক্তা পুরষ্কার ২০২১।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ,যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন।

উক্ত অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন রোকছানা পারভীন দীপু। এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন সম্মানিত ও গুণী ব্যক্তিবর্গবৃন্দ।

প্রতিবেশী কুটির শিল্প মূলত পিছিয়ে পড়া নারীদের আশা জাগানিয়া একটি প্ল্যাটফর্ম। যেসব নারীরা অর্থনৈতিকভাবে অস্বচ্ছল কিংবা পড়াশুনা করে বেকার রয়েছেন তাদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে এক অন্যরকম ভূমিকা পালন করে আসছে এই প্রতিষ্ঠানটি। রান্না, হস্তশিল্প,
নার্সারী,গিফট আইটেমসহ প্রায় ২০০ টি বিষয়ের উপর প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে প্রতিবেশী কুটির শিল্প।

প্রতিবেশী বিউটিপার্লার, প্রতিবেশী বুটিকস, প্রতিবেশী নার্সারী, প্রতিবেশী ফুড কর্ণার, প্রতিবেশী হস্তশিল্প – এর সমন্বয়ে একটি প্রতিবেশী মিনি মার্কেটের উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল।

তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে যাবার আহ্বান জানিয়ে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, ‘যারা বিভিন্ন মানসিক অবসাদে ভোগেন তাদেরকে বলবো আপনারা যুব প্রশিক্ষণ গ্রহণ করুন নিজে স্বাবলম্বী হোন এবং অপরকে সহযোগিতা করুন। কোনো কাজই ছোট নয় – স্বল্প পুঁজি নিয়েও যে কোন কাজ শুরু করা যায় এবং সফলতা পাওয়া সম্ভব।’

অনুষ্ঠানটির আয়োজক রোকছানা পারভীন দীপু জানান, ‘প্রতিবছর প্রতিবেশী সেরা উদ্যোক্তাদের সম্মাননা দেয়া হয়। তাদেরকে কাজের প্রতি অনুপ্রেরণা দেয়ার জন্যই এই ধরনের আয়োজন করা হয়। সকল নারীদের বলতে চাই, চাকরি খুঁজবো না চাকরি দেব, কাজ খুঁজবো না কাজ দিবো – এই স্লোগানকে সামনে রেখে এগিয়ে যেতে হবে।’

বিশেষ অতিথি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন বলেন, ‘যেসব নারীরা পিছিয়ে আছে তারা যেন রান্নাবান্নার মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে বিভিন্ন দক্ষতা অর্জন করে এবং আত্নকর্মসংস্থানের মাধ্যমে সম্মানের সাথে এগিয়ে যাবে।’

যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আজহারুল ইসলাম বলেন ‘‘আমি মনে করি, এমন উদ্যোক্তা সম্মাননার মাধ্যমে আরো অনেক উদ্যোক্তা সৃষ্টি হবে তাহলে বাংলার মানুষ দারিদ্রতার মধ্যে থাকবে না।’’

অনুষ্ঠানে সেরা দশজন উদ্যোক্তাকে সম্মাননা প্রদান করা হয়, উপস্থিত অতিথিদের আলোচনা, প্রজেক্ট প্রদর্শনী, উদ্যোক্তাদের বিভিন্ন স্টল দিয়ে সাজানো হয় এবং সাংস্কৃতিক আয়োজনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।

সেতু ইসরাত
উদ্যোক্তাবার্তা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here