নবীন ডিজাইনারদের জন্যে ডিজাইনারস ওয়াডরোব

0

ফ্যাশনের দুনিয়ায় কলকাতার তরুণ প্রতিভারা দারুণ করছে। কলকাতা থেকে যারা ইতিমধ্যেই নাম করেছেন, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক ব়্যাম্প কাঁপিয়ে বেড়াচ্ছেন তাদের একটা তালিকা তৈরি করতে গিয়ে রীতিমত হিমসিম খাবার যোগাড়।

কারণ তালিকাটা বেশ লম্বা। কিরণ উত্তম ঘোষ, অনামিকা খান্না, সব্যসাচী মুখার্জি, কল্লোল দত্ত, রিতু কুমার, শর্বরী দত্ত, অগ্নিমিত্রা পল, মোনাপালি, দেব আর নীল, শান্তনু গোয়েঙ্কা, কনিষ্ক, সুলগ্না ঘোষ, কোমল সুড, অভিষেক দত্ত, অংশু মোদি, দর্শন শাহ, মীরা বসু, মেঘনা নায়েক এবং এভাবে আরও আরও অনেক। আপনি এঁদের অনেকের কথাই পড়েছেন বাংলা পত্রিকার পাতায়। আবার অনেকেই আছেন যাদের কাহিনি এখনও বলা বাকি আছে।

উদ্যোক্তা উমঙ্গ সারাওগি এবং অমিত অগরওয়াল

তবে আজ আপনাদের বলব অন্য রকম একটি কাহিনি। এমন একটি স্টার্টআপের কাহিনি যারা উদীয়মান ফ্যাশন ডিজাইনারদের সঙ্গে ক্রেতাদের আলাপ করিয়ে দেন।

সেক্সপিয়র সরনির মতো কলকাতার প্রাইম লোকেশনে একটি বিশাল শোরুম খুলেছেন দুই বন্ধু। নিজেরা কেউই ফ্যাশন ডিজাইনার নন। কিন্তু ফ্যাশন নিয়ে আগ্রহ অনেক। উদ্যোক্তা উমঙ্গ সারাওগি, মেরেকেটে বয়স ২৫ এর কোঠায়। আর অন্যজন তারই কলেজের বন্ধু অমিত অগরওয়াল।

এই শোরুমের ফান্ডাটা খুব সিম্পল। এটা ফ্যাশন প্রোডাক্টের দোকান। পাশাপাশি একজিবিশন হলও বটে। যেসব উদীয়মান ফ্যাশন ডিজাইনারের নিজেদের কোনও শোরুম নেই তারাই আসছেন উমঙ্গ অমিতের স্টার্টআপ ডিজাইনার্স ওয়াডরোবে। এক সঙ্গে এক ঝাঁক তরুণ ডিজাইনারের কাজ দেখতে ভিড়ও জমছে এই শোরুমে। শুধু কলকাতার নয় যতই খবর ছড়িয়ে পড়ছে বাইরের রাজ্য থেকেও ডিজাইনাররা যোগাযোগ করছেন। ফলে ব্যবসার ব্যবসা হচ্ছে তেমনি তলে তলে ডিজাইনারদের জন্যে একটি প্লাটফর্মও তৈরি হয়ে যাচ্ছে। বলছিলেন উমঙ্গ।

উমঙ্গ বড় হয়েছেন বর্ধমানের কালনায়। বাবার রাইস মিল ছিল। কিন্তু বছর দশেক আগে কলকাতায় আসেন পড়াশুনোর সূত্রে। সেন্টজেভিয়ার্সে কমার্স নিয়ে ভর্তি হন। তখন থেকেই নিজে কিছু করার স্বপ্ন দেখতেন। বন্ধু অমিতের সঙ্গে নতুন নতুন ব্যবসার আলোচনা করতেন। পাশাপাশি কলকাতার ফ্যাশন দুনিয়া নিয়ে তাঁর উৎসাহ তৈরি হয়। সেই শুরু। তারপর হায়দরাবাদে আইবিএস-এ পড়াশুনো করতে যান। ফিরে এসেই লেগে পড়েন, যেমন ভাবা তেমন কাজে। এদিকে অমিত পুরোদস্তুর চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট। পারিবারিক ব্যবসায় যোগ দিয়েছেন। বন্ধুর ডাকে সাড়াও দিয়েছেন।

সেক্সপিয়র সরনিতে এই ফ্যাশন স্টুডিও যখন তৈরি হয় তখন অনেক দ্বিধাদ্বন্ধে ছিল। কিন্তু কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই দারুণ সাড়া পেয়েছেন উদ্যোক্তা উমঙ্গ। ফলে ফ্যাশন কলেজ থেকে বেরিয়ে যেসব ডিজাইনার নিজেরাই উদ্যোক্তা হওয়ার লড়াইটা বেছে নিচ্ছেন, তাদের জন্যে উমঙ্গ-অমিতদের বন্ধুত্বের হাত সব সময় প্রশস্ত। ফলে ডিজাইনাররা নিজেই নিজের ব্র্যান্ড তৈরি করতে পারছেন খুব সহজে।

উমঙ্গরা উদীয়মান ফ্যাশন উদ্যোগপতিদের সহযোগিতায় বিভিন্ন রকম ইভেন্টেরও আয়োজন করার পরিকল্পনা করছেন। মাত্র কয়েক মাসেই ফ্যাশন ডিজাইনার এবং কেতাদুরস্ত ক্রেতাদের মুখে মুখে ফিরতে শুরু করেছে ডিজাইনারস ওয়াডরোব।

(তথ্যসূত্র ও ছবি ইন্টারনেট থেকে)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here