নতুন উদ্যোগ ‘বং বুজ’ নিয়ে সফল উদ্যোক্তা সঞ্চিতা

0

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার পাশাপাশি রয়েছে তার একটি উদ্যোগ বংবুজ। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তিনি তিনি এগিয়ে চলেছেন বংবুজ নিয়ে। মূলত শতভাগ বিশুদ্ধ ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার সকলের কাছে যৌক্তিক দামে পৌঁছে দেওয়ার একটি দীর্ঘদিনের স্বপ্নের বাস্তব রুপ হচ্ছে বং বুজ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন সময়ে উদ্যোক্তা উপলব্ধি করেন খাবার হিসেবে আমরা প্রতিদিন বিভিন্ন রাসায়নিক, কৃত্তিম রং এবং ভেজাল খাবার গ্রহন করছি। সেই আক্ষেপ থেকেই মুলত ভাবনা আসে শতভাগ বিশুদ্ধ খাবার যৌক্তিক দামে সকলের কাছে কিভাবে পৌঁছে দেওয়া যায় আর সেই সময় থেকেই নিয়েছেন ভিন্নধর্মী এক উদ্যোগ যা ২০২০ সালের ২ জুলাই বং বুজ নামে যাত্রা শুরু করে।

বং বুজ মূলত গ্রোসারি বা নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য নিয়ে কাজ করছে। আমাদের বেশিরভাগ পণ্যই নিজস্ব উৎপাদিত বা নিজস্ব তত্ত্বাবধানে তৈরী ও সংগ্রহ করা হয়ে থাকে। তাই পণ্যের বিশুদ্ধতা ও সেরা মানের নিশ্চয়তা দিতে পারেন এই উদ্যোক্তা।

তাদের পণ্য তালিকায় রয়েছে নিজস্ব তত্ত্বাবধানে তৈরী সাতক্ষীরার বিশুদ্ধ গাওয়া ঘি, নিজস্ব মৌয়াল দ্বারা সংগৃহীত ৬ প্রকারের মধু, ঘানির সরিষার তেল, রান্নার গুড়া মসলা, কালোজিরার তেল, বাদামের তেল, ৪ প্রকারের ব্লাক টি এবং ৬ প্রকারের গ্রীন টি।

উদ্যোক্তাদের যাত্রাপথে অনেক কিছু অতিক্রম করে তাদের যাত্রা কে এগিয়ে নিয়ে যেতে হয়। সঞ্চিতা শিকদারের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল পন্যের কাঁচামাল সংগ্রহ করা। কারন তারা প্রথম থেকেই পন্যের বিশুদ্ধতা ও সেরা মানের ক্ষেত্রে আপোষহীন ছিল। তাই প্রতিটি পণ্যের কাঁচামাল প্রান্তিক কৃষক থেকে সংগ্রহ করা সহজ ব্যাপার ছিল না। এছাড়া তরল পণ্য নিয়ে কাজ করার কারনে কুরিয়ার ও সরবরাহ সংক্রান্ত জটিলতা ছিল। অনেক কুরিয়ার তরলজাতীয় পণ্য নিতে চাইতো না।

তিনি বলেন, “আমরা হাল ছাড়িনি। ধীরে ধীরে সম্পর্ক তৈরী করা হয় নিকটস্থ কুরিয়ার গুলোর সাথে। এখন আমাদের সম্পর্ক এতটাই ভালো হয়েছে যে বাংলাদেশের যেকোনো প্রান্তের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও হোম ডেলিভারি দিচ্ছি।”

বং বুজের যাত্রাপথের ব্যাপারে উদ্যোক্তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “২০২০ সালের ২ জুলাই করোনাকালীন সময়ে ছোট পরিসরে পঞ্চগড়ে বং বুজের যাত্রা শুরু হয়। আমার এই পথচলায় আমার মা,বাবা, ভাই, বোন এবং বন্ধু পরিজনের থেকে যে পরিমান উৎসাহ ও সহযোগিতা পেয়েছি তা অমূল্য। তবে বিশেষ করে ছোটভাই তন্ময় শিকদার, বন্ধু আবু সাঈদ আহমেদ এবং মনিময় রয় এবং দিপু দাদা এবং সুব্রত দাদা, স্বপন দাদা সহ সবাই যেভাবে সাপোর্ট করেছে তা সত্যি ভোলার নয়। বিশেষ ভাবে আমার স্বামী পলাশ কুমার ঘোষ সবসময় পাশে থেকে উৎসাহ, অনুপ্রেরণা দিয়েছেন। বং বুজ মূলত আমাদের সন্তানের মতো।”

উদ্যোক্তা স্বপ্ন দেখেন সমাজ পরিবর্তনের। তিনি বলেন, “আমারা প্রায়ই একটা কথা বলে থাকি ‘ব্যবসায়িক মনোভাব’।প্রতিটি পেশা থেকেই আমরা সেবা দিতে পারি যদি আমাদের উদ্দেশ্য সৎ থাকে। তাই আমি চাই বং বুজে মাধ্যমে মানুষ যেন ব্যবসা বা উদ্যোক্তা সম্পর্কে ভালো মনোভব পোষন করবে।”

তার আমার ইচ্ছা হলো এমন একটি সমাজ ব্যবস্থা গড়ে উঠবে যেখানে উদ্যোক্তাদের সবাই সম্মান করবে এবং তরুণরা সেই সমাজের সামনে থেকে সেনাপতির ভূমিকা পালন করবে।

সাকিব মাহমুদ,
উদ্যোক্তা বার্তা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here