নওগাঁর অপরূপ তালসড়কে পিঠার মেলা

0

নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার ঘুকুডাঙ্গায় রাস্তার দু’পাশে সারি সারি তালগাছ। তিন কিলোমিটার জুড়ে এ সৌন্দর্য উপভোগে আয়োজন করা হয় তাল পিঠার মেলা। দু’দিনের মেলায় হাজারও মানুষের সমাগম ঘটে।

হাজীনগর ইউনিয়নের ঘুঘুডাঙ্গা তালসড়কে গত বছর ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে মেলা অনুষ্ঠানের ধারাবাহিকতায় এ বছরও ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে একই স্থানে দু’দিনের মেলা বসে। মেলায় এ অঞ্চলের পাশাপাশি বাইরের এলাকা থেকেও বহু মানুষের সমাগম ঘটে। দর্শনার্থীরা সড়কটির সৌন্দর্য উপভোগের পাশাপাশি স্বাদ নিতে পারেন বাহারি সব তাল পিঠার।

এ বছর তালের পাটিসাপটা, তালের জিলাপি, তালের বড়া, তালের ক্ষীর, তালের কফি, তালের আমতা, তালের নাড়ুসহ অন্তত ২০ ধরনের পিঠা মিলেছে। হরেক রকমের তাল পিঠার পসরা সজিয়ে বসেন বিভিন্ন জেলা থেকে আসা দোকানিরা। পাশাপাশি ছিল এলাকার অনেক পরিবার।

নওগাঁ সাপাহার উপজেলা থেকে আসা মীনা পিঠা ঘরের মালিক মীনা জানান, এবারও বিভিন্নরকম তালের পিঠা দিয়ে দোকান সাজানো হয়। গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী তালের সব ধরনের পিঠাই ছিল আয়োজনে। এ বছর বেচাকেনা অনেক বেশি হয়েছে।

মেলাকে ঘিরে নওগাঁ ছাড়াও বেশ কয়েকটি জেলা থেকে দোকানিরা এসেছিলেন।

দু’দিনের তাল পিঠার মেলায় প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষের সমাগম হয়। জেলার বাইরের বিভিন্ন স্থান থেকেও মানুষ আসেন উৎসব আয়োজনে।

এলাকায়র১৯৮৬ সালের দিকে তালগাছগুলো রোপণ করেছিলেন বর্তমান খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তখন তিনি ওই ইউনিয়নের দচেয়ারম্যান ছিলেন। উদ্দেশ্য ছিল বজ্রপাত থেকে মানুষকে রক্ষার পাশাপাশি বাড়তি সৌন্দর্য। এ পিঠা মেলার আয়োজনও তিনিই করেন।

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘প্রতি বছর ভাদ্র-আশ্বিনে বর্ণিল এ আয়োজন করা হয়। মেলাকে উপলক্ষ করে বাড়িতে বাড়িতে জামাই-মেয়ে আর স্বজনরা বেড়াতে আসেন। মূলত নতুন প্রজন্মের কাছে বিভিন্ন প্রজাতির গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী তালের পিঠা পরিচিত করে দিতেই এমন আয়োজন। একটা সময় আমি থাকবো না, তবে এমন আয়োজন যুগের পর যুগ থাকবে এমটাই আশা আমার।’

ডেস্ক রিপোর্ট,
উদ্যোক্তা বার্তা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here