বর্তমানে দেশে প্রায় দুই হাজারের মতো উদ্যোক্তা ই-কমার্স নিয়ে কাজ করছেন।তরুণ উদ্যোক্তাদের প্রচেষ্টায় ধীরে ধীরে বড় হচ্ছে ই-কমার্স সেক্টর। বাড়ছে এই সেক্টরে চাকরির চাহিদা। ই-কমার্স দেশের কর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিক কর্মকান্ডকে গতিশীল করে যাচ্ছে।
সম্প্রতি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এ তথ্য জানিয়েছেন।
ই-কমার্স বা ডিজিটাল শিল্পকে আরও ভাল করে গড়ে তুলতে চারটি বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এখানে ইন্টারনেট, লেনদেনের ব্যবস্থা, ডেলিভারি সুবিধা ও বিশ্বাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এই চারটি বিষয় সঠিক ব্যবহার করতে পারলে দেশের অর্থনৈতিক কর্মকান্ড আরও বেগবান হবে।
পলক বলেন, ই-কমার্সে ব্যবসা করতে গেলে আপনাকে বিশ্বাস রাখতে হবে। পণ্যটি আসবে, যা অর্ডার করা হয়েছে তা ঠিক আছে এটা নিশ্চিত করা। এছাড়াও পণ্যের মানও ঠিক রাখতে হবে। বর্তমানে আমরা যে ব্যবসার কথাই চিন্তা করি না কেন, প্রযুক্তি বাদ দিয়ে ওই ব্যবসার উন্নয়ন সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, সোস্যাল মিডিয়াকেও ই-কমার্স হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এখন শুধু ছবি শেয়ার করা কিংবা যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে সোস্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করা হচ্ছে না, এটা মানুষের কর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিক যে কর্মকান্ড, সেটাকেও কিন্তু বেগবান করছে।
জানা যায়, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশের যুগান্তকারী অগ্রগতি ঘটেছে। ই-গবর্নমেন্ট ডেভেলপমেন্টের ক্ষেত্রে দেশ উল্লেখযোগ্য হারে এগিয়ে গেছে, উঠে এসেছে বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে অনেক ওপরে। ১৯৩ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ১১৫তম। এই হিসাবে দেশ এখন র্যাঙ্কিংয়ের দিক থেকে ৩৫ ধাপ এগিয়ে।
এই অগ্রগতির অংশীদার বর্তমান সরকার ও দেশের জনগণ। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্বে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ে উঠছে। রূপকল্প-২১ সালের মধ্যে দেশ পুরোপুরি ডিজিটাল হবে এমন ভিশন নিয়ে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
ডেস্ক রিপোর্ট, উদ্যোক্তা বার্তা