দশ দিনব্যাপী এই ডিজিটাল মেলায় অংশগ্রহণ করছেন দেশীয় ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ৩০ জন উদ্যোক্তা

দেশে প্রথমবারের মতো উদ্বোধন হয়েছে ‘জেডিপিসি-ঐক্য’ বহুমুখী পাটপণ্য মেলা।নতুন করে পাটপণ্য সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে এ মেলার আয়োজন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ভার্চ্যুয়ালি ‘জেডিপিসি-ঐক্য’ বহুমুখী পাটপণ্য মেলার উদ্বোধন করেন শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী।

মেলার সভাপতিত্ব করেন ঐক্য ফাউন্ডেশনের সভাপতি শাহীন আকতার রেনী। অনুষ্ঠানের উপস্থাপনায় ছিলেন ঐক্য ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অপু মাহফুজ।

দশ দিনব্যাপী এই ডিজিটাল মেলায় অংশগ্রহণ করছেন দেশীয় ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ৩০ জন উদ্যোক্তা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, ‘পাট শিল্প দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে ব্যাপক কদর। পাটের উন্নত ব্যবহার আরো ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে দিতে হবে। পাট আমাদের অর্থনীতির লাইফ লাইন।’

‘এ মেলার মাধ্যমে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা লাভবান হবেন। পাশাপাশি পাট ও শিল্প মন্ত্রণালয় একসঙ্গে পাটের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে দিতে কাজ করবে।’

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, ‘আমাদের উদ্যোক্তারা বিশেষ করে নারী উদ্যোক্তারা বহুমুখী পাটজাত পণ্য নিয়ে কাজ করছে। আমাদের মন্ত্রণালয়ের জেডিপিসি উদ্যোক্তাদের নানান প্রশিক্ষণের মাধ্যমে গড়ে তুলছে। পাট পণ্য আমাদের অর্থনীতিতে বড় একটি কাঠামো হিসেবে দাঁড়াতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘আমি ঐক্য ফাউন্ডেশনকে ধন্যবাদ জানাই এমন একটি ডিজিটাল মেলার জন্য। কারণ যেসব উদ্যোক্তারা বিদেশে মেলায় অংশগ্রহণ করতে পারে না। তারা কিন্তু সহজেই এ মেলার মাধ্যমে পণ্য বিদেশে রপ্তানী করতে পারবে।’

জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টারের (জেডিপিসি) নির্বাহী পরিচালক ( অতিরিক্ত সচিব বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়) মোহাম্মদ আবুল কালাম বলেন, ‘দশ দিনব্যাপী এ মেলা সফল হবে এবং আমাদের উদ্যোক্তারা নতুন নতুন সুযোগ লাভ করবে। করোনার জন্য আমরা বিস্তৃত আকারে বহুমুখী পাট পণ্যের মেলা করতে পারছি না। এমন পরিস্থিতিতে ভার্চ্যুয়ালি জেডিপিসি-ঐক্য ডিজিটাল জুট প্রোডাক্ট ফেয়ার ২০২০ উদ্যোক্তাদের জন্য আনন্দের। ঐক্য ফাউন্ডেশন যে আমাদের সহায়তার জন্য হাত বাড়িয়ে দিয়েছে তার জন্য সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা।’

বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) চেয়ারম্যান মো. মোশতাক হাসান বলেন, পাটপণ্যের সারা বিশ্বে বিশেষ চাহিদা রয়েছে। আমাদের বিসিকের শিল্প নগরীতে বিশেষ করে নরসিংদীতে পাট পণ্যের পণ্য রয়েছে। আমরা দেশের পাটের ঐতিহ্য ফিরিয়ে নিতে সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে চাই।

সভাপতির বক্তব্যে ঐক্য ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও বিশিষ্ট নারী নেত্রী শাহীন আক্তার রেনী বলেন, ‘‘পাট একটি শক্তি, যাকে আমরা বলি সোনালী আঁশ। বাংলাদেশের পাট ও বহুমুখী পাট পণ্য বিশ্ব বাজারে ব্যাপক চাহিদা। উদ্যোক্তারা নানামুখী পাটপণ্যের পশরা সাজিয়ে বিশ্ব দরবারে দেশকে তুলে ধরছেন। ইতিমধ্যে আমরা ঐক্যডটকম ডটবিডির মাধ্যমে অনলাইনে ও দেশের বাজারে পাট পণ্যের আলোকিত অবস্থান তুলে ধরেছি।’’

পাট পণ্যের আন্তর্জাতিক বহুমুখী উদ্যোক্তা রাশেদুল করীম মুন্না বলেন, করোনার মধ্যে উদ্যোক্তারা অনেকটাই আশা হারিয়ে ফেলেছিল। জেডিপিসি-ঐক্য ডিজিটাল ফেয়ার পাট পণ্যের উদ্যোক্তাদের মধ্যে আশার সঞ্চালন করেছে। এই যাত্রা অবশ্যই যুগোপযোগী ও সাহসী পদক্ষেপ।

ডেস্ক রিপোর্ট, উদ্যোক্তা বার্তা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here