দিনাজপুরের আফতাবগঞ্জে ১৯৫২ সালে জন্ম মোখলেছুর রহমানের। ছোটবেলা থেকেই হস্তশিল্পের কাজ খুব পছন্দ করতেন। তার সেই শখ থেকেই আজ হস্তশিল্পের এক অনন্য ভুবন তৈরি করেছেন। ইন্ডিয়া থেকে হস্তশিল্পের উপর ডিপ্লোমা কোর্স করেন। কোর্স সম্পন্ন করার পর ইন্ডিয়াতেই তের বছর কাজ করেন।
১৯৮২ সালে বাংলাদেশে আসেন মোখলেছুর রহমান। ২০০০০ হাজার টাকা মুলধন নিয়ে ঘরেই শুরু করেন হস্তশিল্পের কাজ । কাপড়ের তৈরি পান্ডা নিয়ে তার প্রথম যাত্রা শুরু হলো। পান্ডা বানিয়ে সেসময় ব্যাপক সাড়া পেলেন। আস্তে আস্তে বাড়তে থাকে কাজের প্রসার। হস্তশিল্পে যোগ হয় কাঠের বিভিন্ন শো-পিস, নারিকেলের আইচা দিয়ে তৈরি বিভিন্ন শো-পিস,পাথরের বিভিন্ন শো-পিস, নকশি কাঁথা, বেড কভার ইত্যাদি। প্রথমে ঘরে ঘরে গিয়ে মোখলেছুর তার পণ্য বিক্রি করতেন। সবাই পণ্যগুলোর খুব প্রসংশা করলে তিনি আরো উৎসাহ নিয়ে বাড়িয়ে দিলেন প্রোডাকশন।
অনেক বাধা পেরিয়ে আজ তিনি সফল। বর্তমানে দিনাজপুরের স্বপ্নপুরীতে একটি শো-রুম নিয়েছেন।নাম দিয়েছেন “কোহিনুর হস্তশিল্প “।এক ছেলে এবং এক মেয়েকে নিয়ে মোখলেছুর এর সংসার। মেয়ে রাজশাহী কলেজ থেকে মাস্টার্স পাস করেছেন এবং ছেলে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এ ডিপ্লোমা শেষ করেছেন । স্ত্রী এবং ছেলে-মেয়েরাই তার প্রধান সহযোগী। এছাড়া আরো ১২ জন কর্মীর কর্মসংস্থান করে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা মূল্যমানের ব্যবসা পরিচালনা করছেন উদ্যোক্তা মোখলেছুর রহমান।
উদ্যোক্তা বার্তাকে তিনি বলেন, মার্কেটিং এর ব্যবস্থা থাকলে হস্তশিল্পে আর ভাল কিছু করতে পারবেন। ভবিষ্যতে তিনি হস্তশিল্পের উপর একটি স্কুল তৈরি করতে চান, যেখানে বাংলাদেশের বেকার তরুণ-তরুণী হস্তশিল্পের কাজ শিখতে পারেন এবং বেকার সমস্যা দূর করতে পারেন।
আফিয়া জিম