চট্টগ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম মুনিজা আহমেদের। তিন ভাই-বোনের মধ্যে তিনি মেঝ। স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি লন্ডন থেকে এমবিএ এবং লন্ডনের একটি সিএ ফার্ম থেকে সিএ সম্পন্ন করেছেন তিনি।
মা-বাবার স্বপ্ন ছিলো ছেলেমেয়েরা সবাই উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে অনেক বড় চাকরি করবে, কিন্তু স্বপ্ন আর বাস্তবতার মাঝে কখনোকখনো যে ফারাক থেকে যায়।
পড়াশোনা শেষে দেশে ফিরে একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানে নিযুক্ত হন মুনিজা। একসময় বিয়ের পিঁড়িতে বসেন। সাংসারিক ব্যস্ততায় ছেড়ে দেন চাকরি। প্রথমদিকে মন খারাপ হতো, কিন্তু বাচ্চাকে ভালো একটি ভবিষ্যৎ দেয়ার স্বপ্ন নিয়ে মা-বাবা এবং নিজের স্বপ্ন অপূর্ণই থেকে যায় তার।

উদ্যোক্তা বার্তাকে মুনিজা আহমেদ বলেন, “নিজেকে সবসময় এই বলে সান্ত্বনা দিতাম যে, আমি কারো মা, কারো ঘরের বউ, আমার অনেক দায়িত্ব। কিন্তু তারপরও আমার স্বপ্নগুলো মাঝেমাঝে জেগে উঠতো পূর্ণতা পাবার আশায়।”
চলার পথে তার মা সবসময় তাকে অনুপ্রেরণা দিয়েছেন। মায়ের অনুপ্রেরণায় ২০১৫ সালে হাতে থাকা ২০ হাজার টাকা নিয়ে প্রবেশ করেন ব্যবসায়ীক ভুবনে।
তিনি মার্কেটে যেয়ে দেখলেন মসলিন কাপড়, গ্লাস ওয়ার্ক, এমব্রয়ডারি এবং হ্যান্ড পেইন্ট এর চাহিদা অনেক। ব্যবসায়ে যেহেতু সম্পূর্ণ নতুনভাবে পথচলা তাই অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে কারিগরদের কাজ দেখে শিখতেন তিনি।

প্রবল আত্মবিশ্বাস আর দৃঢ় মনোবল নিয়ে প্রথমে ১০ পিস কাপড় ডিজাইন করে বিক্রয় করলেন, সাড়াও পেলেন ব্যাপক। আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি উদ্যোক্তাকে।
বর্তমানে উদ্যোক্তার অধীনে ৫-৬ জন কারিগর এবং ২ জন হ্যান্ড পেইন্ট আর্টিস্ট কাজ করছেন। যারা নিজেরা স্বাবলম্বী হয়ে সমৃদ্ধ করছেন দেশকে, দেশের অর্থনীতিকে। উদ্যোক্তার ডিজাইন করা শাড়ি-কামিজ এখন দেশের গণ্ডি পেরিয়ে দেশের বাইরেও রপ্তানি হচ্ছে।
জেবুননেসা প্রীতি
এসএমই করেস্পন্ডেন্ট ,উদ্যোক্তা বার্তা