তরুণ উদ্যোক্তার খোঁজে উদ্ভাবনী প্রতিযোগিতা ‘ফুড ফ্রন্টিয়ার্স ২.০’

0

সুবিধাবঞ্চিত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাবার সরবরাহ এবং গ্রহণে উৎসাহিত করার পাশাপাশি সৃজনশীল ব্যবসায়িক ধারণা বাস্তবায়ন ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে শুরু হয়েছে উদ্ভাবনী প্রতিযোগিতা ‘ফুড ফ্রন্টিয়ার্স ২.০’।

প্রতিযোগিতাটির আয়োজক স্কেলিং আপ নিউট্রিশন (সান/ SUN) বিজনেস নেটওয়ার্ক, যা বাংলাদেশে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ইমপ্রুভড নিউট্রিশন (গেইন/GAIN ) এবং ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম (ডব্লিওএফপি/ WFP) সহ পরিচালিত হচ্ছে।

বিস্তারিত জানতে ও আবেদন করতে ভিজিট করুন: https://foodfrontiers.live/

এছাড়াও আপডেট জানতে ফুড ফ্রন্টিয়ার ২.০ এর ফেসবুক পেজ: https://www.facebook.com/foodfrontier2.0

এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য হলো পুষ্টিকর খাদ্য পণ্যকে নিম্ন বা সীমিত আয়ের ভোক্তাদের কাছে পৌঁছানোর জন্যে নতুন এবং উদ্ভাবনী উপায়গুলো চিহ্নিত করা। পাশাপাশি টেকসই খাদ্য ব্যবস্থা ও সামাজিক উদ্যোগে ব্যবসায়িক দক্ষতা আনতে তরুণ উদ্যোক্তাদের সক্ষমতা তৈরি করাও অন্যতম লক্ষ্য। একইসঙ্গে টেকসই উৎপাদন ব্যবস্থার মাধ্যমে পুষ্টিকর খাদ্য পণ্যের চাহিদা তৈরি করা ও উদ্ভাবনী বিপণন ক্যাম্পেইন চিহ্নিত করা হবে এ উদ্যোগে।

প্রতিযোগিতায় নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার সরবরাহ এবং গ্রহণে উৎসাহিত করতে নতুন ব্যবসায়িক মডেলের উদ্ভাবন, সাশ্রয়ী মূল্য এবং খাদ্যের গুণগত মানে সহজ প্রযুক্তিগত সমাধানে যেসব ধারণা এবং উদ্যোক্তা কাজ করবেন তাদের যোগ্য হিসেবে বিবেচনা করা হবে। আবেদনকারীদের মধ্য থেকে প্রথমে যাচাই-বাছাই শেষে সংক্ষিপ্ত তালিকা করা হবে। সংক্ষিপ্ত তালিকা থেকে প্রতিযোগীরা নিরাপদ এবং পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ ও এই সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের জন্য ব্যবসায়িক মডেল অভিজ্ঞ বিচারকদের সামনে তুলে ধরবেন।

আবেদনের শেষ তারিখ ১৫ জানুয়ারি। আবেদনকারীদের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পাওয়ার কারণে এর সময়সীমা বাড়ানো হতে পারে বলে জানা গেছে।

প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত বিজয়ীরা তাদের ব্যবসায়িক ধারণা বাস্তবায়ন, ব্যবসা সম্প্রসারণ ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য মোট ৩৫,৫০০ মার্কিন ডলারের অনুদান ও ‘প্রি-সিড তহবিল’পাবেন।

তিন ক্যাটাগরিতে ৬ জন উদ্যোক্তা এবং ব্যক্তিকে চূড়ান্ত বিজয়ী হিসেবে পুরস্কৃত করা হবে। তিনটি ক্যাটাগরির মধ্যে একটি হচ্ছে: ‘নিম্ন আয়ের ভোক্তাদের কাছে পৌঁছানোর জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যবসায়িক মডেল’। এর অধীনে প্রাথমিক পর্যায়ের সামাজিক উদ্যোগ বা স্টার্ট-আপগুলো থেকে পুষ্টিকর খাবার নিম্ন-আয়ের ভোক্তাদের কাছে পৌঁছানোর জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যবসায়িক মডেলগুলো আবেদন করতে পারবে।

দ্বিতীয়টি হচ্ছে ‘যুগান্তকারী প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন’ ধারণা। এর আওতায় থাকবে ‘খাদ্যের ট্রেসেবিলিটি’ উন্নত করতে, খাদ্যের অপচয় কমানো, টেকসই খাদ্য উৎপাদন, পুনরায় উৎপাদনশীল কৃষি ব্যবস্থা ও নকশা পদ্ধতির প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন। এই প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন টেকসই খাদ্য উৎপাদনকে সহযোগিতাপূর্ণ এবং বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর জন্য ব্যবহার উপযোগী হতে হবে।

এছাড়া ‘উদ্ভাবনী বিপণন প্রচারাভিযান’ বিষয়ে যেসকল প্রতিষ্ঠান পুষ্টিকর খাবারকে উৎসাহিত এবং পুষ্টিকর খাদ্য পণ্যের চাহিদা তৈরিতে প্রচার ও প্রসারে উদ্ভাবনী অবদান রাখতে পারবে, তাদেরকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। তবে এতে বিপুল সংখ্যক নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীর কাছে কার্যকরভাবে বার্তা পৌঁছাল কি-না তাও বিবেচনায় আনা হবে।

সংক্ষিপ্ত তালিকা শেষে চূড়ান্ত বাছাই ১০ টি প্রতিষ্ঠান বা দল ব্যবসায় ধারণা প্রদানের জন্য বিনিয়োগ সংক্রান্ত প্রস্তুতি, প্রশিক্ষণ ও ব্যবসা সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে ঢাকায় তিন দিনের আবাসিক বুটক্যাম্প সেশনে অংশ নেবে। আবাসিক বুটক্যাম্পে দেশের শীর্ষ স্থানীয় ও প্রতিষ্ঠিত শিল্পপতি, ব্যবসায়ীরা ভবিষ্যতে তরুণ উদ্যোক্তাদের করণীয় ও পরিকল্পনা নিয়ে পরামর্শ দেবেন। এই আয়োজনে কৌশলগত অংশীদার হিসেবে থাকছে জাতীয় ক্ষুদ্র, মাঝারি ও কুটির শিল্পর সংস্থা এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ।

আয়োজকরা জানিয়েছেন, প্রতিযোগিতার মাধ্যমে তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য শুধু সৃজনশীল ধারণা নয়, বরং বাস্তব সমস্যার সমাধানও খুঁজে পাওয়া যাবে।

ডেস্ক রিপোর্ট,
উদ্যোক্তা বার্তা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here