শেষ-পর্ব
পুরো ৪ দিন অনেক ভালো লাগা মন্দ লাগা অভিজ্ঞতা নিয়ে মেলা শেষ করলাম। মেলা শেষে ২-১ দিন চায়না শহরকে ঘুরে দেখবো, বিভিন্ন অভিজ্ঞতা নিবো এটা ভেবে আমরা কেউ কেউ রয়ে গেলাম। চায়না ক্যান্টর ফেয়ারে যাবো এটা ছিলো তার একটা কারণ। গুয়াংজুতে এসে বেশ কিছু শপিংমল খুঁজে বের করলাম। এ নিয়েও ছিলো নানা অভিজ্ঞতা।
মিটারে ক্যাব এ উঠলে ওরাও কিন্তু মাঝে মাঝে আমাদের ঠকাতে চেয়েছে। আমরা রাস্তাঘাট চিনিনা তাই অযথাই কেউ কেউ ঘুরিয়ে ভাড়া ২-৩ গুন করেছেন। তাই এইসব বিষয়ে বুঝতে পেরেছি। বুদ্ধিমত্তা দিয়ে চলতে হয়।
অভিজ্ঞতার ঝুলি নিয়ে দেশে ফেরার দিন হলো সবচেয়ে বড় অভিজ্ঞতা। ফ্লাইট ছাড়ার ২ ঘণ্টা আগে এয়ারপোর্টে পৌঁছানো এবং শেষ পর্যন্ত ফ্লাইট মিস করা এর মাঝে ছোট ছোট অনেক বিষয় ছিলো যেগুলো আমরা গুরুত্ব দেইনি কিন্তু এই ভ্রমন থেকে আমি শিক্ষা নিয়েছি। ছোট ছোট সকল বিষয়ে জেনে যেতে হয়। মাথায় রাখতে হয় প্রতি মুহূর্তে প্রয়োজনের চেয়ে যেকোনো জায়গায় যেকোনো মুহূর্তে টাকা পয়সা বেশী লাগতে পারে। যোগাযোগের মাধ্যম মোবাইলে যেকোনো সমস্যা হতে পারে। যেগুলো আমাদের হয়েছিলো।
ঠিক যেই মুহূর্তে যেটা, বাস্তবতা তখন সেটাকে মেনে নিতে হয়। তার জন্য সামনের পথটা কঠিন করা যাবেনা। প্রতিটা ক্ষেত্রে উপস্থিত বুদ্ধি থাকতে হয়। প্রতিটা মুহূর্তে বন্ধুর সাথে থাকতে হয়। আমি এটা করেছি, আমার সফর বন্ধুকে আমি রেখে আসিনী। আমরা এক সাথে পুরো বিষয়টাকে জয় করেছি। আমাদের হয়তো কিছু সময় এবং বেশ কিছু টাকা পয়সা লস হয়েছে ফ্লাইট মিস করার কারণে ডাবল ভাড়া করে টিকেট করতে হয়েছে এবং এয়ারপোর্টে বেশ কিছু পণ্য ফেলে রেখে আসতে হয়েছে। কিন্তু আমি আর মিজি আপু এটা প্রমাণ করতে পেরেছি আমরা সংগ্রামী আমরা সকল বাধা বিঘ্ন জয় করে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে জানি। শেষ পর্যন্ত আমরা দেশে ফিরে এসেছি ওদের অজস্র ভালোবাসা নিয়ে আর ওদের দিয়ে এসেছি আমাদের দেশের নাম সুনাম।
হাসিনা মুক্তা
সফল নারী উদ্যোক্তা