ভোজনপ্রিয় বাঙালির আঁচার প্রীতির কথা সবার জানা। আঁচার খেতে আমরা কম-বেশি সবাই ভালবাসি। শুধু আমাদের দেশেই নয়, সারা বিশ্বেই ছড়িয়ে আছে মজাদার আঁচারের সব মজার মজার তথ্য। আঁচারের কথা শুনে জিভে জল আসেনা এমন মানুষ পাওয়া ভার।

শুরুটা ২০০০ সালের দিকে। পারিবারিক ঐতিহ্যবাহী আঁচার কে বানিজ্যকরনের চিন্তা মাথায় আসে দু ভাইয়ের। বিলুপ্তপ্রায় ঐতিহ্য কে টিকিয়ে রাখা এবং মানুষের সাথে পরিচয় করানোই ছিল মূল লক্ষ্য। দুই ভাই মিলে চিন্তা অনুযায়ী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল লাইব্রেরীর সামনে আচারের অস্থায়ী দোকান দেন।অনেক প্রশংসা কুরালেন। তাতে অনেক উৎসাহ পেলেন। বাড়িয়ে দিলেন প্রডাকশনের পরিমান। অনেক মেলাতে অংশগ্রহন, এরপর এসিআই লিমিটেড সুপার শপে কাশ্মীরি আঁচারের কর্ণার রয়েছে।

নানা উপাদান আর স্বাদের আঁচার বাহারি সব উপস্থাপনা নিয়ে এসেছে কাশ্মীরি আঁচার অ্যান্ড ফুড প্রোডাক্টস। মূলত আঁচারের নামেই নামকরণ করা হয়েছে কাশ্মীরি আচার। ভীষণ কষ্ট করে আচারের উদ্যোগ নিয়ে সফল হয়েছেন উদ্যোক্তা শাহিনুর ইসলাম।

বরাবরের মত এবারও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার এসএমই প্যাভিলিয়নের স্টলে হরেক রকম আচারের পসরা সাজিয়ে বসেছেন উদ্যোক্তা।
ক্রেতারা স্টলের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় ঢু মারছেন এবং এত এত প্রকার আঁচার দেখে একটা না একটা কিনছেনই।

স্টলে রয়েছে প্রায় ৩০ ধরণের আঁচার। আঁচারের মধ্যে রয়েছে- আমড়া মোরব্বা, আমলকি মোরব্বা, মিষ্টি বড়ই, আলু বোখারা আঁচার, রসুনের আঁচার, বোম্বে মরিচের আঁচার, জলপাই মিষ্টিা আঁচার, চালতার বিভিন্ন ধরণের আঁচার, চালতা গুড়া, জলপাই টক আঁচার, তেঁতুলের আঁচার, আম কাশ্মীরী আঁচার, চেরি আঁচার, কদবেল আঁচার, খেজুরের আঁচার, আমচুর ইত্যাদি।

প্রকারভেদে বিভিন্ন আচার সর্বনিম্ন ১০০ গ্রাম ৪০ টাকা থেকে শুরু, এবং কেজি প্রতি ১০০০-১২০০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে।
ক্রেতাদের বেশি কৌতূহল দেখা গেছে খেজুরের আঁচার এবং চেরি আঁচারের প্রতি।

আঁচার সম্পর্কে জানতে চাইলে উদ্যোক্তা শাহিনুর ইসলাম ইউবি প্রেসকে জানান, “৩৫ জন কর্মীর হাতে তৈরি হয় কাশ্মীরি আঁচারের বিভিন্ন পদ। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় প্রায় ত্রিশ প্রকার আঁচার পাওয়া গেলেও তাদের প্রতিষ্ঠানে সারা বছর প্রায় সত্তর প্রকারের বেশি আঁচার পাওয়া যায়।
শুভ হাসান ও বিপ্লব আহসান