জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেলো শেরপুরের তুলশীমালা

0

শেরপুরের বাহারি সুগন্ধি চাল তুলশীমালা জিআই পণ্য হিসেবে শিল্প মন্ত্রণালয় কর্তৃক চুড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছে।

ডিসি শেরপুর ফেসবুক পেইজে অনুমোদনের একটি কপি পোস্ট করে এর সত্যতা নিশ্চিত করেন।

এরপরই ওই পেইজে অভিনন্দন বার্তা জানিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান শতশত লাইক, শেয়ার ও কমেন্ট করে চলেছেন।

ডিসি শেরপুর ফেসবুক পেইজে উল্লেখ করা হয়, ‘একটি উদ্যোগের সফল পরিসমাপ্তি ঘটতে চলেছে। আলহামদুলিল্লাহ, অবশেষে জেলা প্রশাসন শেরপুরের আবেদনের প্রেক্ষিতে তুলশীমালা ধান জেলার জিআই পণ্য হিসেবে শিল্প মন্ত্রণালয় কর্তৃক চুড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছে। সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা।’

এরপরেই শিল্প মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি জেলা প্রশাসনকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছাসহ কৃতজ্ঞতা জানানোর ধুম পড়ে যায়।

জেলা কৃষি সস্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক সুকল্প দাস বলেন, জেলা প্রশাসকের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা এবং কৃষি বিভাগের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে তুলশীমালা ধান জিআই পণ্য হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছে। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে এবার এক কেজির প্যাকেট হিসাবে ১১ হাজার কেজি তুলশীমালা চাল বাজারজাত করা হয়েছে।

প্যাকেটে বাংলা এবং ইংরেজিতে চালের গুণাগুণ উল্লেখ করা হয়। ভবিষ্যতে এই চাল বিদেশে রফতানির লক্ষ্য নিয়ে কৃষি বিভাগ কাজ করছে।

উপ-পরিচালক সুকল্প দাস আরো বলেন, জেলার পাঁচ উপজেলায় এবার সাত হাজার হেক্টর জমিতে তুলশীমালা ধানের আবাদ করা হয়, যা থেকে ১০ হাজার মেট্রিকটন চাল পাওয়া গেছে। আর এই ধান উৎপাদনের সাথে প্রায় ৪০ হাজার কৃষক জড়িত বলে তিনি জানান।

শেরপুরের তুলশীমালাকে জিআই পণ্যে অন্তর্ভুক্ত করার যাত্রা এবং সে প্রচেষ্টার কঠিন পথ পাড়ি দিয়ে সাফল্য অর্জন করায় ফেসবুক ব্যবহারকারী অগণিত লোকজন শেরপুর জেলা প্রশাসনকে বিভিন্নভাবে ধন্যবাদ জানিয়েছেন, যে ধারা এখনো অব্যহত আছে। এই সংবাদটি শেরপুর বাসীর জন্য নিঃসন্দেহে অনেক গৌরবের। এখন থেকে শেরপুর জেলাকে সবাই তুলশীমালার জেলা হিসেবে একনামে চিনবে।

ডেস্ক রিপোর্ট
উদ্যোক্তা বার্তা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here